পর্যবেক্ষণে চোখ আবশ্যক। যে চোখ প্রত্যক্ষ করে এবং বিশ্লেষণে পারঙ্গম। কথায় আছে দেখা এবং লেখা। আমরা সবাই দেখি, পড়ি কিন্তু মননে ধারণ করে তা বিশ্লিষ্ট করতে পারি না। এ সক্ষমতা সবার থাকে না, কারো কারো থাকে। এঁদের মধ্যে আমরা পাচ্ছি অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খানকে। তাঁর দেখা ও লেখার চোখ এবং বলার ধরন তাঁকে ইতিমধ্যে মহিরুহে পরিণত করেছে। তিনি প্রশ্ন ক🍃রেন, যে প্রশ্ন সবাই উত্থাপন করতে পারেন না। তিনি লিখেন যা সচরাচর আমাদের চোখ এড়িয়ে যায় সে সম্পর্কে।
আলোচ্য গ্রন্থ ‘উৎসর্গ’ ২০২৩ সালের অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়। ইতিহাস কারখানা গ্রন্থমালার চতুর্থ খণ্ড এটি। পূর্বে ইতিহাস কারখানার আরো তিনটি বই প্রকাশিত হয়েছে। দুটি ২০০৯ সালে, এর একটি `আদমবোমা` অপরটি সত্য সাদ্দাম হোসেন ও `স্রাজেরদৌলা`র দ্বিতীয় সংস্করণ এবং ২০১১ সালে `স্বাধীনতা ব্যবসায়’। হিশেব অনুযায়ী প্রায় এক যুগ পরে ইতিহাস কারখানা পুনরুজ্জীবিত হয়েছে। উৎসর্গ বইটিতে ইতিহাস, রাজনীতি ও লেখকের স্মৃতি-চিত্র প্রস্ফুটিত হয়েছে। তাঁর এসব লেখা পাঠকের হৃদয় ছুঁয়ে যায়, চিন্তায় নতুন বিন্যাস ঘটায়। বাংলা ভাষার বৌদ🌟্ধিক পাঠক ও গবেষক ইতিহাসের নানান বিষয়ে জানতে আগ্রহী। সেক্ষেত্রে লেখকের প্রায় লেখায় প্রয়োজনীয় রেফারেন্স ও ইতিহাসের নানান উপাদান লক্ষ্য করা যায়, যা অনুসন্ধিৎসু পাঠকের নানা জিজ্ঞাসা নিরসনে সহায়ক। বইটিতে বারোটি প্রব൲ন্ধ রয়েছে। এগুলো ২০০৮ হতে ২০২২ সালের মধ্যে লেখা, যাতে প্রতিফলিত হয়েছে লেখকের সুবিন্যস্ত চিন্তা। তাতে তিনি তিনটি ভাগে আলোচনা করেছেন। ভাগগুলো হল প্রজাতি, রাষ্ট্র ও পরিবার। এছাড়াও রয়েছে প্রবেশিকা, লেখকের আরজগোজার, নিবন্ধ বা রচনা পরিচয় ও নির্দেশিকা।
প্রথম অধ্যায় প্রজাতি, এতে চারটি প্রবন্ধ রয়েছে। `বাংলার রেনেসাঁসের পরিণতি : স্মৃতি ও বিস্মৃতি` শিরোনামের প্রবন্ধটি ঐতিহাসিক বিবেচনায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে ভারতবর্ষের বিভিন্ন ঘটনা, দাঙ্গা ও হামলার বিষয়ে সুনিপুণ ব্যাখ্যা রয়েছে। এখানে স্যার যদুনাথ সরকার ও সুশোভন সরকারের লেখার উদাহরণ পাওয়া যায়। ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশী যুদ্ধে নবাব সিরাজুদ্দৌলার পরাজয় ও ব্রিটিশ শাসনের আর্বিভꦿাব। ইতিহাস ব্যবসায়ী সুশোভন সরকার লিখেছেন, `ব্রিটিশ শাসন, বুর্জোয়া অর্থ-ব্যবস্থা আর আধুনিক যুগের পাশ্চাত্য সংস্কৃতি বাংলাদেশেই প্রথম প্রভাব বিস্তার করে আর সচরাচর বাংলার রেনেসাঁস নামে পরিচিত আন্দোলনটির সূচনা ঘটায়` (পৃ.০৪)ꦏ। এ প্রবন্ধে তিনি খ্যাতিমান লেখকদের বইয়ের নানা উদ্ধৃতি ও সূত্র উল্লেখ করেছেন। যেমন, কলকাতা থেকে প্রকাশিত তপন রায়চৌধুরী`র `বাঙালনামা`, দীপেশ চক্রবর্তী`র `মনোরথের ঠিকানা, অর্জুন গোস্বামী সম্পাদিত `কলকাতা ও নোয়াখালি দাঙ্গা`, আবুল মনসুর আহমদের `আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর, কামরুদ্দীন আহমদের `বাংলার মধ্যবিত্তের বিকাশ`, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর `অসমাপ্ত আত্মজীবনী` ও আবুল কালাম শামসুদ্দীনের `অতীত দিনের স্মৃতি` ছাড়াও ইতিহাসের বিভিন্ন আকরগ্রন্থের উল্লেখ রয়েছে।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সাত নম্বর সেক্টরের অধিনায়ক ছিলেন কর্নেল নূর-উজ্জামান। তিনি ২০১১ সালে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর দুই বছর আগে `একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ: একজন সেক্টর কমান্ডারের স্মৃতিকথা` নামে একটি বই লিখেছেন। বইটি ঢাকা থেকে অবসর প্রকাশনী ২০০৯ সালে প্রকাশ করেছিল। এ বইয়ের আলোচনা করা হয়েছে `১৯৭১ সালের অপর কাহিনি: কাজী নূর-উজ্জামানের স্মৃতিকথা` নামে একটি প্রবন্ধে। এতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার বিবরণ পাওয়া যায়। কর্নেল কাজী নূর-উজ্জামান লিখেছেন, `আমি যে স্মৃতিকথা লিখতে বসেছি সেটা কেবল মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলিকে কেন্দ্র করেই। কারণ বারবার আমার জীবনের অনেক অভিজ্ঞতা মহান মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়ে।🐽 এগুলোও লিপিবদ্ধ করা উচিত` (পৃ.৪১)।
কামাল লোহানী বাংলাদেশের ইতিহাসে পরিচিত নাম। তিনি একজন প্রথিতযশা সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। `কামাল লোহানী: স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ইতিহাস` সম্পর্কে লেখক সলিমুল্লাহ খান একটি প্রবন্ধ সংযুক্ত করেছেন প্রজাতি অধ্যায়ে। যাতে নতুন প্রজন্মের অনেক প্রশ্নের উত্তর মিলবে এবং লোহানী সম্পর্কে জানা অধিকতর সহজ হবে। সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য কামাল লোহানীকে ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সরকার একুশে পদক ভূষিত করেন। এ প্রবন্ধে তাঁর বেশ কয়েকটি বইয়ের উল্লেখ রয়েছে। তাঁর উল্লেখযোগ্য বই হলো: আমাদের সংস্কৃতি ও সংগ্রাম (💞২০০৬), লড়াইয়ের গান (২০০৮), রাজনীতি মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীন বাংলা বেতার (২০১২) ও এদেশ আমার গর্ব (২০২০)। লেখক সলিমুল্লাহ খান তাঁর সম্পর্কে লিখেছেন, `কামাল লোহানী ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের দ্বিতীয় পর্বে স্থায়ী কর্মীর ভূমিকা পালন করিয়াছিলেন। এই নিবন্ধের উদ্দেশ্য কামাল লোহানীর স্মৃতিতর্পন নহে। তাঁহার স্মৃতিকথা সংকলনের অতিরিক্ত কোন অভিলাষ আমার নাই। অতিক্রমের মধ্যে, তাঁহার দুই-চারটি বিস্মৃতির কথাও হয়ত বা বলিব। কারণ মুণিদেরও কখনো কখনো মতিচ্ছন্ন হয়` (পৃ.৫৫)। এতে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বেশ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে।
`বুদ্ধিজীবী` শব্দটি সাহিত্য জগতে বেশ পরিচিত ও আলোচিত। বুদ্ধিজীবী কে বা কারা? বুদ্ধিজীবীর কাজ কি? এ রকম প্রশ্ন জাগতে পারে? এ প্রসঙ্গে সলিমুল্লাহ খান লিখেছেন, `এক প্রস্তাব অনুসারে সকলেই বুদ্ধিজীবী নয়, মাত্র কেউ কেউ বুদ্ধিজীবী। আরেক প্রস্তাব মোতাবেক মানুষ মাত্রেই বুদ্ধিজীবী। কেননা একমাত্র বুদ্ধির—যাহার অবিসাংবাদিত প্রকাশ ভাষা—বলেই মানুষ প্রাণিজগতে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করিয়াছে। তবে কাজের কথা এই, বুদ্ধিজীবীর কাজ সকলেই করেন না` ( পৃ.৮২)। তিনি বুদ্ধিজীবী প্রসঙ্গে অত্যন্ত চমৎকারভাবে আলোচনা করেছেন, তাঁর `বুদ্ধিবৃত্তির পঞ্চাশ বছর: নতুন ভ্রমে ঢাকা পুরাতন ভ্রম` প্রবন্ধে। মহাত্মা আহমদ ছফা বাংলা সাহিত্যে এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম। তাঁর অমরকীর্তির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে `বুদ্ধিবৃত্তির নতুন বিন্যাস` (১৩৭৯)। এ নিবন্ধে সাহাসী লেখক আহমদ ছফার এই ༒বইটির সাক্ষাৎ পাওয়া যায়। তিনি এ বইটিতে বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে সৎ ও সাহসী উচ্চারণ করেছেন।
বইয়ের দ্বিতীয় ভাগের নাম রাষ্ট্র। এপর্বেও চারটি প্রবন্ধ রয়েছে, এগুলো যে কোনো পাঠকের জন্যই মহার্ঘ সংযোজন। সাহিত্যে ভাষার গুরুত্ব অপরিসীম। লেখক এপর্বে `সাধু ও অসাধু ভাষা` নামে একটি প্রবন্ধ লিখেছেন। প্রবন্ধে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকু♕রের `বাংলাভাষা - পরিচয় ও পুনর্মুদ্রণ` (১৩৭৫) ও `বাংলা শব্দতত্ত্ব` (১৩৯১) বই দুটির উল্লেখ রয়েছে। এছাড়া কবি ফরহাদ মজহার রচিত `রক্তের দাগ মুছে রবীন্দ্রনাথপাঠ` (২০০৮) ও শিবপ্রসন্ন লাহিড়ী গয়রহ`র `বাংলা ভাষার প্রয়োগ ও অপপ্রয়োগ` (১৯৮৮) গ্রন্থের উদ্ধৃতি তুলে ধরেছেন। বাংলা ভাষায় লেখকেরা বেশিরভাগ চলিত রীতি প্রয়োগ করেন। তবে সলিমুল্লাহ খান কথা বলেন চলিত রীতিতে, আর লেখালেখি করেন সাধুভাষায়। এটা লেখকের একেবারে ব্যতিক্রমী বৈশিষ্ট্য। পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, মহাত্মা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, প্রমথ চৌধুরী ও ফরহাদ মজহারের বাংলা ভাষায় সাধু ভাষা, সংস্কৃত ভাষা, প্রমিথ ভাষা ও চলতি রীতির ব্যবহার ও প্রয়োগের আলোচনা লক্ষ্য করা যায়।
লেখক সলিমুল্লাহ খান প্রমিত বাংলা সম্পর্কে লিখেছেন, `প্রমিত বাংলার এই দশা হইল কি করিয়া! আমার কঠিন বিদ্যা নাই সত্য, কিন্তু সহজবুদ্ধিও নাস্তি এ কথা তো আর বলিতে পারিব না! বাংলা লিখিয়া উদরান্ন যোগাই আর বাংলার আকাশ দেখিয়া চোখের খিদা মিটাই বলিয়াই এই প্রমিত ভাষাওয়ালাদের হাতে ভাষার হাল—জবানের সর্বস্ব—ছাড়িয়া দিব এমন সাহস হয় না` ( পৃ.১০৪)। এ অংশে তিনি আরো তিনটি নিবন্ধ সংযুক্ত করেছেন। এ নিবন্ধগুলো হচ্ছে `শিক্ষার উত্তম-মধ্যম`, `পরাধীন দেশে সুশাসন কেন সম্ভব নহে` এবং `স্বাধীনতা নিরাপত্তা`। লেখাগুল🔯োতে তিনি সৈয়দ মুজতবা আলীর `রচনাবলি ২য় খণ্ড`, তপনকুমার ঘোষ সম্পাদিত ` বাংলা রচনা, জাক লাকাঁ, ফ্রানৎস ফানোঁ ও জাঁ-পল সাত্রের লেখার চিত্র বাগানে ফুলের মত ফুটে উঠেছে।
বইটির শেষ ভাগের নাম পরিবার। এই অংশেও রয়েছে চারটি মহার্ঘ সংযোজন । পরিবার অধ্যায়ে তিনি তাঁর শিক্ষক ও শিক্ষকস্থানীয় কয়েকজন কীর্তিমান মানুষের স্মৃতি তুলে ধরেছেন। তিনি ‘আবুল খায়ের মোহাম্মদ আবদুল্লাহ : উচ্চ বিদ্যালয়ের স্মৃতি’ প্রবন্ধে স্কুল জীবনের স্মৃতিচারণ করেছেন। সলিমুল্লাহ খান চট্টগ্রাম সেনানিবাস উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসসি পরীক্ষা দেন। তখন ঐ স্কুলের অধ্যক্ষ ছিলেন আবুল খায়ের মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। সেনানিবাস উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি সম্পর্কে তিনি লিখেছেন, `মহেশখালী আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয় হইতে ছাড়পত্র লইয়া আমি চট্টগ্রাম সেনানিবাস উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হইয়াছিলাম ১৯৭২ সালের মাঝামাঝি কোন এক সময়ে। সময়টা জুন কি জুলাই মাস হইতে পারে। ঐꦿ বিদ্যালয়ে তখন ছাত্র ভর্তির মৌসুম আসে নাই। তবুও যে আমাকে সেখানে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হইয়াছিল তাহার সম্পূর্ণ কৃতিত্ব বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মহাত্মা এ কে এম আবদুল্লাহ মহোদয়ের। আমার বাবার উদ্যোগ, বড়ভাইয়ের তৎপরতা এবং অধ্যক্ষ মহোদয়ের অনুগ্রহ—এই তিনে মিলিয়া আমার জীবনে একটা উল্লেখযোগ্য স্মৃতির সূচনা করিল` (পৃ.১৩৩)। শিক্ষা জীবনে সহযোগিতাকারীদেরকে তিনি কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেছেন। লেখক এ প্রবন্ধে অধ্যক্ষ এ কে এম আবদুল্লাহ, তাঁর পিতা ও পরলোকগত বড়ভাইয়ের স্মৃতিতর্পন করেছেন।
‘আহমদ কবির: বিশ্ববিদ্যালয় মণ্ডলের কথা’, ‘সৈয়দ আবুল মকসুদ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস’ ও ‘আ ফ ম মাহবুবুল হক: আমাদে✅র কালের নিয়তি’ নামে তিনটি নিবন্ধ এ অংশে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। প্রতিটি প্রবন্ধ বাংলা ভাষার পাঠকদের জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ বলেই বিবেচিত। সৈয়দ আবুল মকসুদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে পড়াশোনা করেছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে তিনি কয়েকটি বই লিখেছেন। এগুলো হল—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা (২০১৬), স্যার ফিলিপ হার্টগ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য ২০১৬), সলিমুল্লাহ মুসলিম হল (২০১৯) ও নবাব সলিমুল্লাহ ও তাঁর সময়: পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশ, বঙ্গবিরোধী আন্দোলন, সন্ত্রাসবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা (২০২১)। লেখক সলিমুল্লাহ খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস সম্পর্কে লিখেছেন, `তাঁহার লেখা মধ্যশ্রেণির ইতিহাসে সৈয়দ আবুল মকসুদ বেশি বেশি জোরജ দিয়াছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাপর্ব কিংবা প্রস্তুতিপর্বের উপর। সেই পর্বের কিছু সত্য ঘটনা আজ একশত বছরের মাথায় কিছুটা অপ্রীতিকর ঠেকিলেও ঠেকিতে পারে। সত্য গোপন করিয়া কিছুদিন জনসাধারণকে বোকা বানাইতে পারা যায়। কিন্তু অন্ধ হইলে কি প্রলয় বন্ধ থাকে?` (পৃ.১৫৪)।
আলোচ্য গ্রন্থটি চট্টগ্রাম সেনানিব🐈াস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যক্ষ আবুল খায়ের মোহাম্মদ আবদুল্লাহ (১৯১৭-১৯৯৯) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথিতযশা অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ(১৯৩৬-২০১২)—এই দুইজন গুণী মানু﷽ষের পবিত্র নামে উৎসর্গ করেছেন। আমি গ্রন্থটির ব্যাপক প্রচার ও প্রসার কামনা করছি।
উৎসর্গ: পরিবার প্রজাতি রাষ্ট্র, সলিমুল্লাহ খান, প্রচ্ছদ: মিকেলাঞ্জেলো মেরিসি দা কারাবাজ্জো কৃত ‘স🙈াক্রিফিচো দি ইসাক্কো’ চিত্র অবলম্বনে সায়মন জাকারিয়া, ইতিহাস কারখানা গ্রন্থমালার𝓀 চতুর্থ খণ্ড, মধুপোক ও আগামী প্রকাশনী, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০২৩, পৃষ্ঠা: ১৭৫, দাম: ৫০০ টাকা।