রতনতনু ঘোষ ছিলেন অকালপ্রয়াত প্রতিভা। প্রবন্ধ, নিবন্ধ, গবেষণা, সাক্ষাৎকার, কলাম থেকে কবিতা— সব ধরনের লেখাজোকাতেই সিদ্ধহস্ত। ২০১৬ সালে সড়কে চলাচল অবস্থায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি গতায়ু হন। মৌলিক ও সম্পাদনা মিলিয়ে জীবদ্দশায় প্রায় ৭৫টি বই প্রকাশিত হয়েছে। আরও কয়েকটি রয়ে গেছে অপ্রকাশিত অবস্থায়। রতনতনু ঘোষের ঘনিষ্ঠজন তরুণ গল্পকার শফিক হাসানের কাছে রয়েছে অপ্রকাশিত একাধিক পাণ্ডুলিপি। ২০২৩ সালে নিঝুম প্রকাশন থেকে তিনি প্রকাশ করেছেন প্রয়াত এ লেখকের শেষ কাব্যগ্রন্থ— ‘মুক্তি ত✤োকে পেতেই হবে বাংলাদেশ’। প্রচ্ছদ করেছেন শতাব্দী জাহিদ।
বইটি প্রকাশের বিষয়ে শফ💙িক হাসান বলেন, ‘দীর্ঘ সাত বছর ধরে কবিতার পাণ্ডুলিপিটি আমি বয়ে বেড়িয়েছি। কয়েকজন প্রকাশকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, প্রত্যাশিত সাড়া পাইনি। শেষপর্যন্ত বিবেকের দায় থেকে নিজ অর্থায়নে বইটি প্রকাশ করেছি।’
বইটির প্রকাশক ও সম্পাদক শফিক হাসান আরও বলেন, ‘দীর্ঘদিন অধ্যাপনা করেছেন রতনতনু ঘোষ। তার অনেক শিক্ষার্থী, সহকর্মী, সহমর্মী ও শুভানুধ্যায়ী রয়েছেন সারꦿা দেশে। তারা যদি বইটি সংগ্রহ করে পড়েন, প্রয়াত লেখকের প্রতিই শেষ সম্মানটুকু জানানো হবে।
নামকরণ থেকেই অনুমেয় বইটির বিষয়বস্তু। দেশ-মাতৃকার সব ধরনের মুক্তির বিষয়ে রতনতনু ঘোষ সবসময়ই ছিলেন উচ্চকণ্ঠ। তার তাবত লেখালেখিতে এই ছাপ সুস্পষ্ট। কবিতার বইয়েও ব্যত্যয় ঘটেনি। স্বদেশের নানা অনাচার-অবিচার, জোর-জবরদস্তি, ক্ষেত্রবিশেষে উল্টোমুখী যাত্রায় দগ্ধ হ﷽য়ে রতনতনু ঘোষ কবিতাগুলো রচনা করেছেন। গ্রন্থভুক্ত কবিতাগুলোতে একজন সমাজতাত্ত্বিকের দৃষ্টিতে প্রিয় স্বদেশকে নতুনরূপে উপলব্ধি করতে সমর্থ হবেন পাঠক।
বইটি পাওয়া টাঙ্গন প্রকাশন𝔍, ৩০ কনকর্ড এম্পোরিয়াম শপিং কমপ্লেক্স (বেসমেন্ট), কাঁটাবন, ঢাকা।