নারীর কপালে সৌন্দর্য্যের প্রতীক থাকে টিপ। কপালে ভ্রু জোড়ার মাঝে শোভা পায় এই টিপ। কিন্তু নারীর কপালে সেই টিপ বাঁকা। বাঁকা টিপ পরেই সেলফি তুলে নেটদুনিয়♏ায় পোস্ট করছেন অসংখ্য নারী। কেন নারীরা কপালে বাঁকা টিপ পরে সেলফি 🔥তুলছেন? এর পেছনে রয়েছে বিশেষ কারণ।
সম্প্𒁃রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকালেই চোখে পড়বে নারীদের কপালে বাঁকা টিপের ছবি। বিশেষ করে কোনো ট্রেন্ড শুরু হলে সবাই তা করতে থাকেন। কিন্তু এই বাঁকা টিপের সেফলি কোনো ট্রেন্ড নয়। বরং নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই এই উদ্দ্যোগ নিয়েছে নারীরা। এটি হচ্ছে ‘অড ডট সেলফি’।
নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে কপালের বাঁকা টিপ অর্থাত্ অ🅺ড ডট সেলফি’। বলা যায়, এটি প্রতিবাদের ভাষা। এই প্রতিবাদের স্লোগানই হচ্ছে ‘আমার প্রতিবাদের ভাষা #OddDotSelfie’। নেটদুনিয়ায় সম্প্রতি চলা এই প্রতিবাদে সাড়া দিয়েছেন দেশখ্যাত অভিনয় শিল্পীরা এবং সোশ্যাল মিডিয়াꦿর ইনফ্লুয়েন্সাররা।
সম্প্রতি ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রামে বিভিন্ন পোস্টে দেখা যায়, কপালের মাঝখান থেকে একটু সরিয়ে টিপ পরে সেলফি তুলেছেন নারীরা। আর ‘হ♔্যাশট্যাগ অড ডট সেলফি’লিখে পোস্ট দিচ্ছেন নিজেদের অ্যাকাউন্টে। শুধু তাই নয়, এর মাধ্যমে তারা বিশ্ব♏ের অন্য নারীদেরও আহ্বান জানান। ধীরে ধীরে এই হ্যাশট্যাগে সাড়া দিয়ে এগিয়ে আসেন সাধারণ নারীরাও।
এই পဣ্রতিবাদের অংশ নিয়েছেন দেশের জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী সারা জাকেরও। তিনি বলেন, “আমাদের দেশের নারীরা প্রতিদিন ঘরে বাইরে নির্যাতিত হচ্ছেন। কিন্তু এর প্রতিবাদই হ🦄চ্ছে না। সময় এসেছে সবাই মিলে সোচ্চার হওয়ার। নিজের জন্য নয়, সব নির্যাতিত নারীর জন্যই প্রতিবাদ করা উচিৎ।“
প্রতিবাদে অংশগ্রহণকারী নাট্যকর্মী ফৌজিয়া কর♊িম অনু বলেন, “সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অনলাইনেও হয়রানির শিকার হচ্ছে নারীরা। এর কোনো প্রতিবাদ নেই। বেশিরভাগ সময়ই চুপ করে সহ্য করে নেন নারীরা। এবার নারীর প্রতি সহিংসতা এগিয়ে এসেছে নারীরাই। সবাই সোচ্চার হলে সহিংসতা বন্ধ হবেই।“
টিপ নিয়ে এমন প্রতিবাদ এর আগেও জানিয়েছে এদেশের নারীরা। বছরখানেক আগে ঘটে যাওয়া এক ঘটনার প্রতিবাদে সোশ্যাল মিডিয়ায় টিপ পরে ছবি পোস্ট করেছিলেন অসংখ্য নারী। ২০২২ সালের ঘটনা। তেজগাঁও কলেজের শিক্ষক ড. লতা সমাদ্দারকে টিপ পরতে দেখে কটুক্তি করেন রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় কর্মরত এক পুলিশ সদস্য। ওই সময় লতা সমাদ্দর প্রতিবাদ করতে গেলে ও♊ই পুলিশ সদস্য তাকে হত্যার চেষ্টা করেন বলেও অভিযোগ পাওয়া যায়। থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক লতা সমাদ্দার এই বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেন। জিডির কপি ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এরপরই ঘটনাটির প্রতিবাদে কপালে টিপ পরা ছবি পোস্ট করছেন অসংখ্য নারী।