বিয়ের পর অনেকেরই ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যা তৈরি হয়। বিয়ের পরে ওজন বৃদ্ধির বিষয়টিকে ইংরেজিতে ‘লাভ ওয়েট’ বলা হয়। ‘লাভ ওয়েট’ নিয়ে গꦛবেষকরা নানা রকম গবেষণা ও সমীক্ষা চালিয়েছেন। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন গবেষকের গবেষণা বলছে, বিষﷺয়টি সত্যি। নানা দেশের ২০০০ জন মানুষের ওপর গবেষণা চালিয়ে দেখা গেছে, ৭৯ শতাংশেরই বিয়ের পরে ওজন বেড়েছে। নানান গবেষণা থেকে ওজন বাড়ার কারণ হিসেবে উঠে এসেছে কিছু বিষয়। যেমন-
- বিয়ের পর খাদ্যাভাসে বদল আসে। খাওয়া-দাওয়ার ধরন, খাওয়ার পরিমাণ, সময় সবকিছুই বদলে যায়। সেই কারণে ওজন বাড়তে পারে।
- বিশেষ করে নারীরা বাবার বাড়িতে যে ধরনের খাবারে অভ্যস্ত ছিলেন, শ্বশুরবাড়িতে এসে সেখানে হয়তে ভিন্নতা থাকে। এতে ইনটেসটাইনের ওপর চাপ পড়ে। ভিটামিন বি স্টোরেজের অবস্থা একেবারে শেষপ্রান্তে এসে পড়ে। শারীরিকভাবে তো বটেই, মানসিকভাবেও অশান্তি হয়। ফলে ওজন বাড়তে পারে।
- বিয়ের পর খাবার খাওয়ার সময়ের পরিবর্তন আসে। খাবার খাওয়ার সময়ের পরিবর্তন হলেই পরিবর্তন আসে ভিটামিন বি স্টোরে। প্রতিটি বি ভিটামিন মূলত বিপাকীয় প্রক্রিয়ার জন্য একটি কোএনজাইম।
- সাধারণত বিয়ের পর নিমন্ত্রণের সংখ্যাও বেড়ে যায়। আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতে রোজ রোজ ভূরিভোজ হয়, তাই ওজন বেড়ে যাওয়া স্বাভাবিক।
- আবার নতুন পরিবেশে খাপ খাইয়ে নিতে সময় লাগে। বিয়ের আগে যাদের নিজেদের মধ্যে পরিচয় ছিল না, তাদের পরস্পরের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে আরও সময় লাগে। অচেনা পরিবেশেও অনেকের ঘুম আসতে সমস্যা হয়। তাতেই কমে যায় ঘুম। ঘুমের অনিয়ম ওজন বাড়িয়ে দেয়।
- বিয়ের পর অনেকে হানিমুনে যান। যতই ভ্রমণ, ততই বাইরে খাওয়া। ট্রেন, প্লেন, বাস সব জায়গাতেই প্রক্রিয়াজাত খাবার, ফাস্ট ফুড। এ ছাড়াও পেস্ট্রি, চিজ, সফট ড্রিংকস তো আছেই।
- বিয়ের আগে অনেকেই ব্যয়াম করে থাকেন। শরীরচর্চায় সময় দিয়ে থাকেন। কিন্তু বিয়ের পর নানান কারণে অনেকেরই আর শরীরচর্চা করার সুযোগ থাকে না। সেটিও ওজন বাড়ার জন্য দায়ী।