• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


তরুণ-তরুণীদের যৌন আকাঙ্ক্ষা বাড়াতে খুলছে ‘যৌন মন্ত্রণালয়’


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৩, ২০২৪, ০৮:১২ পিএম
তরুণ-তরুণীদের যৌন আকাঙ্ক্ষা বাড়াতে খুলছে ‘যৌন মন্ত্রণালয়’
যৌন আকাঙ্ক্ষা কমছে তরুণ-তরুণীদের মধ্যে। ছবি: সংগৃহীত

তরুণ-তরুণীদের মধ্যে যৌন আকাঙ্ক্ষা আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে। সন্তানধারনে একেবারেই অনীহা প্রকাশ করছেন তারা। যৌন আকাঙ্ক্ষা বাড়ানোর জন্য এর আগে পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছিল। দশ বা তার বেশি ඣসন্তান নিলেই সরকারের তরফ থেকে দেওয়া হবে আকর্ষণীয় পুরস্কার। কিন্তু তারপরও কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া যায়নি।

এর মধ্যে আবারও নতুন উদ্যোগ নেয় সরকার। কর্মক্ষেত্রে মধ্যাহ্নভোজ ও কফি পানের বিরতিরতꦰে সঙ্গমের পরামর্শ দেন স্বয়ং সরকারপ্রধান। যে ঘোষণা গোটা বিশ্বজুড়েই রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। এমনকি স্বাস্থ্যমন্ত্রীও চাকরিজীবী তরুণ-তরুণীদের অত্যধিক সঙ্গম ও একাধিক সন্তান নেওয়ার নির্দেশনা দেন।

শুধু কি তাই, বিয়ের রাতে মধুচন্দ্রিমার জন্য হোটেলের রুম বুকিংয়ের টাকা, কিংবা হানিমুনে গিয়ে অত্যধিক সঙ্গম করার যে খরচ সেটাও বহন করার ইচ্ছে সরকারের। তারপরও যেন তরুণ-তরুণীরা সঙ𝓀্গমে আগ্রহী হয়ে সন্তান উৎপ🍨াদনে মনোযোগী হন।

তবে সরকারের এতসব উদ্যোগের পরেও কাঙ্ক্ষিত ফল না পাওয়ায় পরবর্তীতে আরও নতুন পরিকল্পনা করে মস্কো। ঠিক করা হয়, রাত ১০টা থেকে দুটো পর্যন্ত আলো ও ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হবে। যৌন মিলনের জন্য একে আদর্শ সময় বলে চিহ্নিত করে প🦄ুতিন প্রশাসন।

মস্কোর কর্তাদের যুক্তি ছিল, রাতে দীর্ঘক্ষণ আলো ও ইন্টারনেট ব্যবহারের কার𓆏ণে তরুণ-তরুণীদের মন বিভিন্ন খাতে প্রবাহিত হওয়ার সুযোগ থাকছে। ফলে সঙ্গমের উৎসাহ হারাচ্ছেন তারা। তবে পরবর্তীতের এটা বোঝা যায় যে, এভাবে দীর্ঘক্ষণ ইন্টারনেট ও আলো বন্ধ রাখা সম্ভব নয়। ফলে এসব অভিনব পরিকল্পনাও ব্যর্থ হয়ে যায়।

এবার যাবতীয় সংকট সমাধানে অভিনব পন্থ বের করছে পুতিন সরকার। আরও বেশি কার্যকর উদ্যোগ ও নতুন নতুন পরিকল্পনা হাতে নিতে যৌনতা সংক্রান্ত ꦏমন্ত্রণালয় খোলার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। যে মন্ত্রণালয় থেকে তরুণ-তরুণীদের মধ্যে যৌন আকাঙ্ক্ষা আরও বাড়িয়ে তুলতে বেশি বেশি উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আনন্দবাজার।

এমনিতে করোনা মহামারির ꧒সময়ে লাখ লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। তার ওপর মহামারি শেষ হতে না হতেই ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়েছে রাশিয়া। যে যুদ্ধে লাখ লাখ সেনা মারা গেছে। এসব মৃত্যুর মিছিল রাশিয়ার জনসংখ্যার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তার মধ্যে হু হু করে কমছে জন্মহার।

এসব পরিসংখ্যান দেখে রীতিমতো চোখ কপালে তুলেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তিনি নতুন মন্ত্রণালয় তৈরির পরিকল্পনা করছেন। ইতোমধ্যেই সন্তানের জন্ম দেওয়ায় দম্পতিদের দেদার টাকা দেওয়া হচ্ছে। দেশটির শহর খবরভস্কে মাতৃত্বের স্বাদ পাওয়া ১৮ থেকে ২৩ বছর বয়সি তরুণীরা পুরস্কার হিসাবে সরকারি অর্♈থ পাচ্ছেন।

গেল সেপ্টেম্বরে কর্মক্ষেত্রে মধ্যাহ্নভোজ ও কফি পানে♎র বিরতির ফাঁকে সঙ্গমের পরামর্শ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। একই সুরে রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েভজেনি শেস্তোপলোভ চাকরিজীবী তরুণ-তরুণীদের অত্যধিক সঙ্গম ও একাধিক সন্তানের জন্ম দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য করোনা মহামারির পর ২০২২ সালের আগস্টে প্রেসিডেন্ট পুতিন ঘোষণা করেন, দশম সন্তানের প্রথমཧ জন্মদিনে মা-কে সরকার থেকে ১০ লক্ষ রুবল (রাশিয়ান মুদ্রা) উপহার দেওয়া হবে। এসব উদ্যোগের পর এবার ঘোষণা আসছে ‘যৌন মন🐲্ত্রণালয়’ নামে নতুন মন্ত্রণালয় তৈরির।

যৌন মন্ত্রণালয়ের মূল কাজ হবে, কীভাবে দেশের তরুণ-তরুণীদের সঙ্গম ও সন্তানধারণের জন্য উৎসাহিত করা যায়। সন্তান পালনের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে দেদার অর্থ বিলি করা হবে। বর্তমানে নারীদের বিনামূল্যে প্রজনন ক্ষ🍬মতা পরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। পাশাপাশি নিষিদ্ধ🧔 হয়েছে গর্ভপাত। আগামীতে এসব কাজ নতুন ‘যৌন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে চলবে।

প্রসঙ্গত, রাশিয়ার মতো জন্মহারের সমস্যায় ভুগছে দক্ষিণ ই꧅উরোপের দেশ ইতালিও। সন্তান উৎপাদনে তরুণ-তরুণীকে উৎসাহিত করতে সরকারের পক্ষ থেকে অর্থ ও বাড়িগাড়ি উপহার দেওয়ার ঘোষণা করেছে সরকার। একইভাবে জন্মহার হ্রাস পাওয়ায় ‘এক সন্তান’ নীতি থেকে সরে এসেছে চীন। জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াও হাঁটছে একই পথে।

Link copied!