ইউক্রেনের দনিপ্রো শহরে একꩵটি নতুন মধ্যম পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ‘ওরেশনিক’ ব্যবহার 💮করে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এই ক্ষেপণাস্ত্র কতটুকু শক্তিশালী এ নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এক টেলিভিশন ভাষণে এই ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষার ঘোষণা দেন। তিনি জানান, এটি💖 ‘অপরমাণবিক হাইপারসনিক কনফিগারেশনে’ ব্যবহার করা হয় এবং এটি সুনির্দিষ্টভাবে লক্ষ্যবস্তু🌜তে আঘাত হেনেছে।
এক প্রতিবেদনে 💝এ তথ্👍য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, “ওরেশনিকের গতি ম্যাক-১০ (প্রায় ২ দশমিক ৫-৩ কিলোমিটার প্রতি সেকেন্ড)। এই গতি ও ক্ষেপণাস্ত্রের মাঝপথে গতিপথ পরিবর্তনের ক্ষমতা একে কা🥀র্যত অনাক্রমণীয় করে তুলেছে। আধুনিক কোনো বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে সক্ষম নয়।”
ক্ষমতা ও ধ্বংসাত্মকতা
ওরেশনিক ক্ষেপণাস্ত্রে ৩ থেকে ৬টি পৃথকভাবে নিয়ন্ত্রিত ওয়ারহেড🃏 থাকতে পারে।
এ বিষয়ে সামরিক বিশেষজ্ঞ ইগর কোরোচেঙ্কো বলেন, “ইউক্রেনে ব্যবহৃত ওয়ারহেডগুলো প্রচলিত 🎶ছিল। তবে এটি পারমাণবিক ওয়ার🍰হেড বহনে সক্ষম। ক্ষেপণাস্ত্রটি ‘সমসাময়িক রুশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রকৌশলের এক অনন্য সৃষ্টি’।
পাল্লা ও ব্যবহারের ইতিহাস
রাশিয়ার সামরিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ওরℱেশনিকের পাল্লা ৩-৫ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।
ইউক্রেনীয় সংবাদমাধ্যমের মতে, এটি কপুস্তিন ইয়ার রেঞ্জ থেকে নিক্ষেপ করা হয়, যা দনিপ্রো থেকে প্রায়♍ ৯০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। সামরিক বিশ্লেষক দিমিত্রি করনেভ এটিকে রাশিয়ার মধ্যম পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম যুদ্ধক্ষেত্র ব্যবহার বলে উল্লেখ করেছেন।
নতুন চুক্তির প্রয়োজনীয়তা
১৯৮৭ সালে মার্কিওন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন ৫০০-৫,৫০০ কিলোমিটার পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার নিষিদ্ধ করে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। তবে ২০১৯ সালে দুই পক্ষই চুক্তি থেকে সরে আসে। পুতিন জানিয়েছেন, রাশিয়া পরবর্তী সময়ে মধ্যম ও স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
𓆏ওরেশনিকের মতো নতুন প্রজন্মের অস্ত্র ইউরোপজুড়ে নিরাপত্তা উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। সামরিক বꦐিশ্লেষকরা বলছেন, এই ক্ষেপণাস্ত্র ইউরোপের প্রায় প্রতিটি দেশকে হুমকির মধ্যে ফেলতে পারে।