ইউক্রেনকে দেওয়া মিত্রদেশগুলোর দেওয়া যুদ্ধবিমান ধ্বংস করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাশিয়া। পোল্যান্ড এবং স্লোভাকিয়া ইউক্রেনকে সোভꦕিয়েত যুগের পুরোনো মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান ঘোষণা দেওয়ার পর এ হুঁশিয়ারি দিল দেশটি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) ন্যাটো দেশ হিসেবে পোল্যান্ড 🤪ও শুক্রবার স্ল🍰োভাকিয়া ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেস🌠কভ ন্যাটো দেশগুলোর এই পরিকল্পনার নিন্দা করেছেন।
তিনি বলেন, “এর ফলে ইউক্রেইনে মস্কোর বিশেষ সামরিক অভিযানে ফলাফলে কোনো প্রভাব পড়বে না। এতে কেবল ইউক্রেন ও এর জনগণের দুর্দশা আরও বাড়বে।” বিশেষ সামরিক অভিযানে এই সব যুদ্ধবিমান অবশ্যই ধ্বংসের শিকার হবে বলে বলে হুঁশিয়ারি ꦡদেন তিনি।
বিবিসি বলছে, স্লোভাকিয়ার নৌবহর গতবছর থেকেই কোনো মিশনে নেই। মূলত গত গ্রীষ্মে ১১টি পুরোনো মিগ-২🔴৯ বিমান বসিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল স্লোভাকিয়া। এর মধ্যে বেশির ভাগই কার্যক্ষম💮তা হারিয়েছে। যে বিমানগুলোর কার্যক্ষমতা আছে, সেগুলোই ইউক্রেনের জন্য পাঠানো হবে। বাকিগুলোর যন্ত্রাংশ সংগ্রহ করা হবে।
এদিকে রাশিয়ার আগ্রাসন মোকাবেলায় ইউক্রেন তাদের মিত্রদেশগুলোর দেওয়া এই বাড়তি যুদ্ধবিমানগুলোকে তাদের প্রতিরক্ষা এবং পাল্টা হামলা চালানোর 🐎জন্য অতীব প্রয়োজনীয় বলেই মনে করে
২০২২ সালের ২৪ 🐭ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরুর পর থেকে পোল্যান্ড ও স্লোভাকিয়ার মতো ন্যাটো মিত্রদেশগুলো কিয়েভকে দৃঢ় সমর্💝থন দিয়ে আসছে। পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনের জন্য অস্ত্র সরবরাহ করলেও এখন পর্যন্ত তারা যুদ্ধবিমান সরবরাহ করা নিয়ে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে।
উল্লেখ্য, ইউক্রেন আরও আধুনিক যুদ্ধবিমান চায়। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ইউক্রেনের সেনাবাহিনী মিগ-২৯ চালাতে জানে। ফলে বিমান হাতে পেলেই তারা চালাতে পারবে। কিন্তু মার্কিন এফ-১৬-এর মতো বিমান চালাতে গেলে তাদের অন্তত ৯ মাসের প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। আর সেই সময় এখন ইউক্রেন🏅ের সেনাবাহিনীর হাতে নেই। সে কারণেই মিগ-২৯ তাদের জন্য সবচেয়ে ভালো যুদ্ধবিমান।