রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের সহস্রতম দিনে যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে প্রথমবারের মতো দেশটির ভূখণ্ডে হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। এমন হামলা চালানো হলে রাশিয়া পাল্টা পদক্ষেপ🦄 হিসেবে পরমাণু অস্ত্র দিয়ে হামলা করার ঘোষণা আগেই দিয়ে রেখেছে। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়নের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে রাশিয়া।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে 🧸বলা হয়েছে, মঙ্গলবারের (১৯ নভেম্বর) হামলার পর ইউক্রেন যুদ্ধ আরও বড় সংঘাতের দিকে মোড় নিচ্ছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেই আশঙ্ক꧅া থেকেই পারমাণবিক বোমা হামলাজনিত শকওয়েভ ও তেজস্ক্রিয়তাসহ নানা ধরনের হুমকি থেকে সুরক্ষায় ভ্রাম্যমাণ বোমা আশ্রয়কেন্দ্রের নির্মাণ শুরু করেছে রাশিয়া।
রাশিয়ার জরুরিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের গবেষণা ইনস্টিটিউট বলেছে, ‘কেইউবি–এম’ নামের এসব আশ্রয়কেন্দ্র পারমাণবিক বোমা হামলা এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট বিপর্যয় থেকে ৪৮ ঘণ্টার জন্য সুরক্ষা দিতে পারে। আরও যেসব পরিস্থিতি থেকে সুরক্ꦡষা দিতে পারে, সেগুলো হলো—বিস্ফোরণ ও প্রচলিত অস্ত্রের আঘাত, ভবন থেকে নেমে আসা ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া এবং বিপজ্জনক রাসায়নিক দ্রব্য ও অগ্নিকাণ্ডের প্রভাব।
এর আগে র🥃াশিয়ায় হামলা চালানোর ক্ষেত্রে ইউক্রেনকে দূরপাল্লার মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করতে জো বাইডেন অনুমতি দেন। বাইডেনের সেই সিদ্ধান্তকে বেপরোয়া আখ্যা দিয়ে ক্রেমলিন বলেছে, যদি সত্যিই মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় হামলা চালানো হয়, তবে এর যথোপযুক্ত জবাব দেবে মস্কো।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, মঙ্গলবার বিকেলে রাশিয়ার ব্রিয়ানস্ক এলাকায় এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা ব্যবহার করে পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইউক্রেন। সেগুলোর সব কটি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগেই ধ্বংস করা হয়। তবে ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষের෴ আঘাতে ওই এলাকায় একটি সামরিক স্থাপনায় আগুন ধরে যায়। এতে কেউ হতাহত হননি।
তবে রুশ মন্ত্রণালয়ের এই বক্তব্যের আগে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা রাশিয়ার ব্রিয়ানস্ক এলাকায় একটি গোলাবারুদের গুদামে হামলা চালিয়েছে। এলাকাটি রুশ সীমান্ত থেকে ১০০ কিলোমিটার ভেতরে। হামলার পর ১২টি বিস෴্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
অবশ্য, বাইডেনের অনুমতির🐽 পর ইউক্রেন যে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালাতে পারে, সে আশঙ্কা আগেই ছিল রাশিয়ার। ফলে মঙ্গলবারই নিজেদের পরমাণুনীতিতে পরিবর্তন এনেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির প𒈔ুতিন।
রাশিয়ার নতুন পরমাণুনীতিতে বলা হয়েছে, পারমাণবিক শক্তিধর কোনো দেশের সমর্থন নিয়ে রাশিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হলে 🐻পাল্টা জবাবে পারম🦩াণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে মস্কো। শুধু তা–ই নয়, কোনো জোটের সদস্য দেশ যদি রাশিয়ার বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালায়, তাহলে পুরো জোটই এই আগ্রাসন চালিয়েছে বলে বিবেচনা করতে পারবে ক্রেমলিন।
রাশিয়ার সদ্যঘোষিত এই পরমাণুনীতি ইউক্রেন যুদ্ধকে আরও ভয়ঙ্কর পরিণতির দিকে ঠেলে দেবে বলে আশঙ্কা করা হচ্🥀ছে। অনেকেই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন রাশিয়ার এই নীতিকে। তবে অনেকেই বলছেন, সদ্য বিজয়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদি♈মির পুতিনের ভালো বন্ধুত্ব রয়েছে। ট্রাম্প নির্বাচনের আগেই ঘোষণা দিয়েছেন বিজয়ী হতে পারলে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করবেন।
প্রসঙ্গত, গত ৫ নভে💟ম্বর অনুষ্ঠিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী জানুয়ারিতে ক্ষমতা পাবেন। তার কয়েক সপ্তাহ আগেই কিয়েভকে মার্কিন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের সবুজ সংকেত দিয়ে বসলেন জো বাইডেন। যার মধ্য দিয়ে যুদ্ধের উত্তেজনা কয়েকগুণ বেড়ে গেল।