গাজা উপত্যকার গাজা সিটিতে শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) ভুল করে তিন ইসরায়েলি জিম্মিকে ইসরায়েলি সৈন্যরাই হত্যা করে। এ খবর ইসরায়েলি জনগণের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে দেশটিতে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু করে জিম্মিদের স্বজন ও সম্মিলিত ইসরায়েলি জনগণ। এ ঘটনায় সীমাহীন চাপে পড়ে নেতানিয়াহুর যুদ্ধকালীন সরকার। বিক্ষোভকারীরা ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে জিম্মিদের উদ্ধারে নতুন করে আলোচনা শুরু করতে চাপ প💦্রয়োগ করে।
তিন জিম্মির করুন মৃত্যুর পর ইতিমধ্যে জিম্মিদের পরিবারের চাপের মুখে হামাসের সঙ্গে নত൩ুন করে আলোচনা শুরু করেছে দখলদার ইসরায়েল।
ইসরায়েলি সংবাদ মাধ্যম ওয়াল্লা নিউজ শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) এক 🥂প্রতিবেদনে জানিয়েছে, হামাসের সঙ্গে নতুন করে চুক্তি করতে ইসরায়েলের গোয়েন্দা প্রধান ডেভিড বার্নেয়া কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান𝄹 আল থানির সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল এর আগে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, নরওয়ের রাজধানী অসলোতে মোসাদ প্রধানের✱ সঙ্গে কাতারের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। তবে ওয়াল্লা নিউজ জানিয়েছে ইতিমধ্যে দুজনের মধ্যে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, এই বৈঠকটি নতুন চুক্তির শুরু মাত্র। নতুন চুক্তির প෴্রক্রিয়াটি দীর্ঘ এবং জটিল হবে।
গত ২৪ নভেম্বর কাতারের মধ্যস্থতায়🥀 অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছিল হামাস ও ইসরায়েল। যা মাত্র ৭ 🐓দিন স্থায়ী হয়েছিল। ওই সময় ১১০ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস। তবে সাত দিন পর চুক্তি নবায়ন না করেই ফের গাজায় বর্বর হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।
ওই সময় ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রীসভা সিদ্ধান্ত নেয় যে, যু🐼দ্ধ করেই ইসরায়েলি জিম্মিদের উদ্ধার করা হবে। কিন্তু গত ১৬ দিনে একজন জিম্মিকেও তারা উদ্ধার করতে পারেনি। এর বদলে এক জিম্মিকে উদ্ধার করতে গিয়ে আরও কয়েকজন সেনা প্রাণ হারিয়েছেন। সঙ্গে নিহত হয়েছে ওই জিম্মিও।
ওই সময় হামাস হুমকি দেয় তাদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া কোনো জিম্মিকে জীবিত উদ্ধা𓄧র করতে পারবে না ইসরায়েল।
এদিকে জিম্মিদের স্বজনরা শুরু থেকেই হামাসের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে জিম্ম𓃲িদের উদ্ধারে চাপ দিয়ে আসলেও ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রীসভা তা কানে তোলেনি। এখন চাপে পড়ে আবার হামাসের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে।
সূত্র- টাইমস অব ইসরায়েল