শিক্ষাকে বলা হয় সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তনের মূল চালিকা শক্তি। বিশ্ব ব্যাংকের তথ্য অনুসারে প্রতি ১ বছরে শিক্ষার বিপরীতে একজন ব্যক্তির আয় বৃদ্ধি প♚ায় ৯ শতাংশ। আর এই শিক্ষার পেছনে ২০২০ সালে বিশ্বে সমন্বিতভাবে ৫ ট্রিলিয়ন ডলার ✨ব্যয় করেছে দেশগুলো। যা বিশ্বের মোট জিডিপির ৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ। একই সময় স্বাস্থ্যে ব্যয় করা হয়েছে ৯ ট্রিলিয়ন ডলার এবং সামরিকখাতে ২ ট্রিলিয়ন ডলার।
ইউনেস্কোর তথ্যানুযায়ী, ২০২০ সালে উচ্চ আয়ের দেশগুলো নিম্ন আয়ের দেশের তুলনায় শিক্ষাখাতে প্রায় দ্বিগুণ ব্যয় করেছে। এ সময় শিক্ষায় বাংলাদেশ ব্যয় করেছে জিডিপির ২ দশমিক ১২ শতাংশ। যেখানে তার প্রতিবেশি দেশ ভারত ব্যয় করেছে জিডিপির ৪ দশমিক ৪🔯৭ শতাংশ।
তবে 🎃এশিয়ার দেশের মধ্যে শিক্ষাখাতে সর্বোচ্চ ব্যয়ের দেশ সৌদি আরব। তাদের ব্যয় জিডিপির ৭ দশমিক ৮১ শতাংশ। ৭ শতাংশ ব্যয় নিয়ে ভুটান রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষে। এ ছাড়া চীন, পাকিস্তান, জাপানের এ খাতে ব্যয় যথাক্রমে ৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ, ২ দশমিক ৩৮ শতাংশ, ৩ দশমিক ৪২ শতাংশ।
শিক্ষাখাতে জিডিপির সবচেয়ে বেশি ও কম ব্যয় করা উভয় দেশ ওশেনিয়াভুক্ত। সবচেয়ে বেশি অংশ ব্যয় করা দেশ সলোমন দ্বিপপুঞ্জ। তাদের ব্যয় জিডিপির ১২ দশমিক ৭৫🐽 শতাংশ। আর সবচেয়ে কম ব্যয়ের দেশ পাপুয়া নিউগিনি। তাদের ব্যয় ১ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এছাড়া ওশেনিয়ার আরেক দেশ অস্ট্রেলিয়ার এ খাতে ব্যয় তাদের ♊জিডিপির ৬ দশমিক ১ শতাংশ।
ছবিসূত্র: ইউসেস্কো
ইউরোপে শিক্ষাখাতে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করা দেশ গ্রিনল্যান্ড। জিডিপির ১০ দশমিক ১৫ শতাংশ শিক্ষার পেছনে ব্যয় করে দেশটি। তাদের এই ব্যয় ইউরোপিয় ইউনিয়নের দেশগুলোর ব্যয়ের গড়ের প্রায় দ্বিগুণജ।
উত্তর আমেরিকার দেশ যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষাখাতে ব্যয় দেশটির জিডিপির ৬ দশমিক ০৫ শতাংশ। কানাডার ক্ষেতౠ্রে এ সংখ্যা ৫ দশমিক ১৭ শতাংশ।
তবে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ বলিভিয়ার এ ༺ক্ষেত্রে ব্যয় ৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ🍌। যা অনেক উন্নত দেশ থেকেই বেশি। এ মহাদেশের ব্রাজিল, চিলি ও আর্জেন্টিার এ খাতে ব্যয় যথাক্রমে ৫ দশমিক ৯৬, ৫ দশমিক ৬২ ও ৫ দশমিক ০২ শতাংশ।
আফ্রিকা মহাদেশেඣর মধ্যে নামিবিয়া সবচেয়ে এগিয়ে। তাদের এ খাতে ব্যয় জিডিপির ৯ দশমিক ৬৪ শতা꧂ংশ। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা সিয়েরা লিওনের ব্যয় ৯ দশমিক ০৯ শতাংশ। এ ছাড়া বৎসোয়ানা, আলজেরিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যয় যথাক্রমে ৮ দশমিক ৭৪, ৭ দশমিক ০৪ ও ৬ দশমিক ৬০ শতাংশ।