• ঢাকা
  • সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকে চিরতরে বিদায় জানাচ্ছে জার্মানি


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৩, ২০২৩, ০২:৫২ পিএম
পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকে চিরতরে বিদায় জানাচ্ছে জার্মানি

জ্বালানির উৎস হিসেবে প্রচলিত পারমাণবিক বিদ্যুৎ চিরকালꦑের জন্য বন্ধ করছে জার্মানি। এ লক্ষ্যে আগামী শনিবার শেষ তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করা হবে। ছয় মাস আগেই এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলেও ইউ🥂ক্রেন যুদ্ধের কারণে সময়সীমা কিছুদিন বাড়ানো হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) জার্মানিভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে এক প্রতিবেদনে এ খবর জা🌟নিয়েছেꦕ। 

এতে বলা হয়, পারমাণবিক বিদ্যুতের ব্যবহার নিয়ে জার্মানির জোট সরকারের মধ্যেও দ্বন🐼্দ্ব পুরোপুরি কাটেনি।

এদিকে পরিবেশবাদী সবুজ দল গত বছরই শেষ তিনটি কেন্দ্র বন্ধের সিদ্ধান্তে অটল থাকলেও উদারপন্থী এ𝔍ফডিপি দল জ্বালা🔥নি সংকট এড়াতে অনির্দিষ্টকালের জন্য সেগুলো চালু রাখার পক্ষে মত দিয়েছিল।

তবে দেশটির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস নিজের বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করে এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তবে এফডিপি সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করলেও শলৎস তা🔜র সিদ্ধান্তে অটল ܫরয়েছেন৷ এমনকি কেন্দ্রগুলো অকেজো করার বদলে রিজার্ভ হিসেবে রেখে দেবার প্রস্তাবও নাকচ করে দিয়েছেন তিনি।

সবুজ দলের নেতৃত্বে পরিবেশ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যে জার্মানির শেষ তিনটি পরমাণু কেন্দ্র রিজার্ভ হিসেবে রাখা বেআইনি পদক্ষেপ হবে। তা ছাড়া সেগুলো অকেজো করার প🍒্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল।

জার্মানির জ্বালানি প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলো পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হবার পর ঘাটতি পূরণ করতে আরও দ্রুত গতিতে গ𒈔্যাসচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র গড়💛ে তোলার পরামর্শ দিয়েছে।

তাদের মতে, দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে জ্বালানির সরবরাহ নিশ্চিত করতে এমন পদক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি। ভবিষ্যতে এমন কেন্দ্র গ্যাসের বꦇদলে হাইড্রোজেন দিয়েও চালানো সম্ভব হতে পারে।

যদিও শনিবার জাতীয় গ্রিড থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরেও তিনটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পুরোপুরি বন্ধ হবে না৷ নিরাপদে চুল্লিগুলোকে ঠান্ডা করা হবে৷ পানি ভরা চুল্লির মধ্য থেকে ফুয়েল এলিমেন্ট বের করে নেওয়া হবে। এমনকি ভেঙে ফেলার বিভিন্ন পর্যায়ের জন্য বিশে🌠ষ অনুমতির প্রয়োজন রয়েছে। যা পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হতে বেশ কয়েক বছর, এমনকি কয়েক দশকও সময় লাগতে পারে।

জাপানের ফুকুশিমা পরমাণু কেন্দ্রে বিপর্যয়ের প💮র জার্মানির সরকার ২০১১ সালে পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন পুরোপুরি💖 বর্জন করার সিদ্ধান্ত নেয়। এর আগে ২০০২ সালেও তৎকালীন সরকার নীতিগতভাবে সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পর নতুন করে কোনো কেন্দ্রের অনুমতি দেওয়া হয়নি। ১৯৬৭ সালে জার্মানির প্রথম পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র কাজ শুরু করেছিল।

Link copied!