গ্রীষ্মকালে বিদ্যুতের চাহিদা সব সময় বেশি থাকে। আর এ বাড়তি চাহিদার কথা মাথায় রেখে এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে ভারতের পাঞ্জাব সরকার সকল সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য অফিসের নতুন সময়সূচী ঘোষণা করেছে। নতুন এ স🎐িদ্ধান্ত অনুযায়ী সরকারি কার্যালয়ে সকাল সাড়ে সাতটা থেকে কার্যক্রম শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রোববার (৯ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার ও ইন্ডিয়া টুডে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, বিদ্যুতের বাড়তি চাহিদার কথা মাথায় রেখে পাঞ্জাব ꦰসরকার এ ঘোষণা দিয়েছে। তবে এ সিদ্ধান্ত চলবে আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত।
নতুন সময়সূচীর ফলে বিদ্যুৎ খরচ কিছুটা কম হবে বরে আশাবাদী সরকার। মূলত গ্রীষ্মকালেই সরকারি অফিসের সময়ে এই বদল আনা হল। গ্রীষ্মে বিদ্যুতের চাহিদা বছরের অন্য সময়ের চেয়ে তুলনামূলক বেশি। নতুন সময়সূচীর ফলেꦦ বিদ্যুৎ খরচের চাপ কিছুটা কমবে বলে আশাবাদী পঞ্জাব সরকার।
পঞ্জাবের ম♉ুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান টুইট করে সরকারি সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
শনিবার পাঞ্জাব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান বলেন, “পাঞ্জাব সর𒊎কার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আগামী ২ থেকে সব সরকারি অফিস সকাল সাড়ে ৭টায় খুলবে ও বেলা ২টায় বন্ধ হবে। নতুন অফিসের সময় আ꧃গামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত বলবত থাকবে। ওই সময়ের মধ্যেই সরকারি অফিসগুলো খুলবে এবং কর্মচারীদের হাজিরা দিতে হবে। নাগরিকদের সরকারি পরিষেবার জন্য এই নতুন সময়সূচী অনুসরণ করতে হবে।”
পঞ্জাবের বিদ্যুৎ দপ্তর অনুযায়ী, দুপুর দেড়টা থেকে বিদ্যুৎ খরচের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। তাই যদি সরকারি অফিসগুলো দুপুর ২টার𓄧 মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়, আগামী দিনে ৩০০ থেকে ৩৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের সাশ্রয় করা যাবে।
মুখ্যমন্ত্রী মান জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষ এবং সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলেই সময়সূচী বদলেℱ ফেলার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিদেশেও এই নীতি অনুসরণ করা হয় বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে ভারতে বিদ্যুতের স্বার্থে অফিসের সময়সূচী পরিবর্তন এই💛 প্রথম।
গ্রীষ্মে বিদ্যুতের খরচ সবচেয়ে বেশি হয় দুপুর দেড়টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত😼। ওই সময়ে সরকারি অফিস বন্ধ রাখার সিদ্ধা🐼ন্ত তাই লাভজনক হতে চলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে।