দীর্ঘ দেড় মাস যুদ্ধের পর অবশেষে সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে যেতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল ও হামাস। অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলের ন൩ৃশংস হামলা বন্ধের প্রস্꧅তাবেও অনুমোদন দিয়েছে দেশটির মন্ত্রিসভা।
বুধবার (২২ 🗹নভেম্বর) এক প🌟্রতিবেদনে আল-জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।
যুদ্ধবিরতির প্রস্ত🐠াব অনুমোদনের ফলে ইসরায়েলি আগ্রাসন থেকে চারদিনের জন্য মুক্তি পাবে গাজাবাসী। এ বিষয়ে দ൩ুপক্ষকে সম্মত করতে মধ্যস্থতা করেছে কাতার।
এরপর দুপক্ষই যুদ্ধবিরতির বিষ﷽য়ে আলাদ🔴াভাবে দুটি বিবৃতি দিয়েছে। সেখানে যুদ্ধবিরতির কিছু শর্তের কথা বলেছে হামাস ও ইসরায়েল সরকার।
বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে, গাজার সব এলাকায় আকাশ ও স্থলপথে সব ধরনের অভ💧িযান পরিচালনা থেকে বিরত থাকবে ইসরায়েলি বাহিনী। সেসময় তাদে🅘র সামরিক যান চলাচল বন্ধ রাখা হবে।
জ্বালানি, চিকিৎসা উপকরণসহ মানবিক সহায়তা নিয়ে 🌃শত শত ট্রাক সীমান্ত পেরিয়ে অবরুদ্ধ গাজায় প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ এসব ট্রাককে গাজায় ঢোকার অনুমতি দেবে।
দ🅺ক্ষিণ গাজায় চার দিনের জন্য ড্রোন ওড়ানো বন্ধ রাখবে ইসরায়েল। উত্তর গাজায় প্রতিদিন ছয় ঘণ্টা (স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত) ড্রোন ওড়ানো বন্ধ রাখা হবে।
সাময়িক যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকা অবস্থায় গাজার কোনো এলাকা থেকে কাউকে আটক করা বা কারও ওপর হামলা না করার বিষয়েও ইসরায়েল সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছে 💫হামাস।
এদিকে ই൩সরায়েল কর্তৃপক্ষ তদের বিবৃতিতে জানিয়▨েছে, আগামী চার দিনের মধ্যে হামাসের কাছে বন্দী থাকা অন্তত ৫০ জনকে মুক্তি দেওয়া হবে। তাদের নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হবে। কারণ ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ বন্দীদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে দায়বদ্ধ।
তাছাড়া বন্দীদের মুক্তির প্রক্রꦅিয়াটি চলমান থাকবে। অতিরিক্ত ১০ জনকে মুক্🍸তি দিলে, একটি করে দিন অতিরিক্ত যোগ করা হবে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল সরকার।
তবে সাময়িক যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও, যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি বলে সতর্ক করেছে ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ। বিবৃতিতে সকল বন্দীদের দেশে ফেরানো, হামাসকে নির্মূল করা এবং গাজা থেকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে 🐠নতুন কোনো হুমকি না আসার নিশ্চয়তা পাওয়া পর্যন্ত এ যুদ্ধ চলবে বলে সত๊র্ক করেছে দেশটি।
সাময়িক এ বিরতিতে ইসরায়েলের কারাগারে বন্দী থাকা কিছু ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আল-জাজিরার প্রতি💎নিধি হামদাহ সালহুত।
গত ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালায়। এ হামলায় ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি নাগরিক নিহত হন। হামাস জিম্মি করে ২৪০ জনের বেশি ইসরায়েলিকে। এর জবাবে ইসরায়েল গাজায় নৃশংসভাবে হামলা শুরু করে। হামলায় এ পর্যন্ত ১৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ৫ হাজার ৬🐈০০ শিশু।
আন্তর্জাতিক মহল বেশ কিছুদিন ধরে দুই পক্ষকে যুদ্ধবিরতির জন্য꧟ চাপ দিয়ে আসছিল। তবে সম্প্রতি তারা বন্দীদের বিনিময়ের মাধ্যমে ৪ দিনের যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে অনুমোদন দিয়েছে।