যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তর বোস্টন ও ওয়াশিংটনের শহরতলি🐽তে অবৈধ যৌনবৃত্তির নেটওয়ার্ক পরিচালনা করতেন মার্কিন নারী হ্যান লি। ম্যাসাচু𒆙সেটস আর ভার্জিনিয়াতে ছিল তার বড়সড় যৌন ফাঁদ। যেগুলোতে তিনি টার্গেট করতেন এশিয়ান তরুণীদের।
হ্যান লির অবৈধ যৌনবৃত্তির নেটওয়ার্কে ধরা দিতেন রাজনীতিবিদ, সামরিক কর্মকর্তা, আইনজীবী ও করপোরেট কর্মকর্তারা। যেখানে তাদের নারী যৌন সঙ্গী পরিবেশন করতেন হ্যান লি। শুধু কি তাই? টার্ꦆগেট করা তরুণীদের অর্থ পাচারে জড়িত থাকার জন্য ‘প্ররোচিত এবং প্রলুব্ধও করতেন লি।
যেভাবে যৌন নেটওয়ার্ক পরিচালনা
হ্যান লি ২০২০ সালের জুলাই থেকে ক্যামব্রিজ, ওয়াটারটাউন, ম্যাসাচুসেটস, ফেয়ারফ্যাক্স, টাইসনস, ভার্জিনিয়াতে একাধিক যৌনপল্লীসহ একটিඣ আন্তঃরাজ্য যৌনবৃত্তি নেটওয়ার্ক পরিচালনা করেন। একাধিক রাজ্যে এই যৌনপল্লীর অবকাঠামোও স্থাপন করেন। যেখানে তরুণীদের প্ররোচিত ও প্রলুব্ধ করা হতো। প্রাথমিকভাবে এশিয়ার তরুণীদের ম্যাসাচুসেটস ও ভার্জিনিয়ায় যৌনবৃত্তিতে জড়িত করা হয়েছিল।
এমন কাণ্ডে জড়ানোর জন্য হ্যান লি ও তার সহযোগীরা টার﷽্গেট 𓆉করা তরুণীদের বিমানে ভ্রমণ ও পরিবহনের ব্যবস্থা করেছিলেন। সেই সঙ্গে তাদের যৌনপল্লীতে রাত যাপনের অনুমতিও দিয়েছিলেন। যাতে তাদের অন্য কোথাও থাকার জায়গা খুঁজে পেতে না হয়। যা এশিয়ার তরুণীদের যৌনবৃত্তি নেটওয়ার্কে অংশ নিতে প্রলুব্ধ করেছে বেশি।
আর এসব কাজে জড়ানোয় হ্যান লি যৌনসেবার ওপর নির্ভর করে যৌꦍন ক্রেতাদের থেকে প্রতি ঘণ্টায় ৩৫০ থেকে ৬০০ ডলার চার্জ করতেন। তবে শুধু নগদ ডলার নিতেন তিনি। তাছাড়া গ্রাহকদের যৌনপল্লীতে সেব𓂃া নিতে আগ্রহ তৈরি করতে বিজ্ঞাপন দিতেন।
এ সময় পেশাদার ফটোগ্রাফারের মাধ্যমে নগ্ন মডেলের ছবি উপস্থাপন করা হতো গ্রাহক আকর্ষণে। সেই সঙ্গে দুটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তরুণীদের সঙ্গে 💦অ্যাপয়েন্টমেন্টের প্রস্তাবও দেওয়া হতো।
আইনের জালে লি
তবে ৪২ বছর বয়সী হ্যান লি শেষ অবধি আইনের জালে আটকে গিয়েছেন। অবৈধ যৌনবৃত্তির অভিযোগে তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম⛄্বর) বোস্টনের ফেডারেল আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ২৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।
লির বিরুদ্🐈ধে অভিযোগ, বৃহত্তর বোস্টন এবং ওয়াশিংটনের শহরতলিতে অবৈধ যৌনবৃত্তির নেটওয়ার্ক পরিচালনা করতেন। যার প্রধান টার্গেট ছিল এশিয়ান তরুণীরা। তবে অভিযোগ বিষয়ে হ্যান লি বলছেন, তিনি অবৈধ যৌন ব্যবসা চালাতেন ঠিকই, তবে কোনো নারীকে যৌন কাজে নিয়োজিত করতে বাধ্য করেননি।