তিউনিসিয়ার জলসীমা থেকে ৪১ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্টগার্ড। শুক্রবার এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির এলিট নিরাপত্তা বাহিনী ন্যাশনাল গার্ডের কর্মকর্তা হুসেম এদ্দিন জেবাবলি। তিনꦜি বলেন, “মৃতদেহগুলোতে পচন শুরু হয়েছে। সম্ভবত বেশ কয়েক দিন সমুদ্রের পানিতে ছিল এসব মরদেহ।”
শনিবার (২৯ এপ্রিল) সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, গত ১০ দিনে নিজেদের জলসীমা ও সমুদ্রতীর থেকে ২১০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর লাশ উদ্ধার করছে তিউনিসিয়ার আইনশৃঙ্খলা ও ন্যাশনাল গার্ড সদস্য🎉রা। এꦰত অল্পদিনে এত সংখ্যক মরদেহ উদ্ধারকে ‘নজিরবিহীন’ বলে উল্লেখ করেছন জেবাবলি।
তিনি বলেন, “অধিকাংশ অভিবাসী আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চল, সিরিয়া ও সুদান থেকে আসা বলে জানা গেছে। এদের সবাই ভূমধ্যসাগরের তিউন𓆉িসিয়া উপকূল থেকে বিভিন্ন নৌকায় সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপের উদ্দেশে যাত্রা করেছিলেন, কিন্তু পথিমধ্যে নৌকাডুবি𝔉র শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। দেশটি অভিবাসীদের এই ঢেউ সামলাতে লড়াই করছে। মর্গে নিহতদের রাখার স্থান ফুরিয়ে যাচ্ছে।”
ভূ𒀰মধ্যসাগরের একদিকে তুরস্ক এবং উত্তর আফ্রিকার দুই দেশ লিবিয়া ও তিউনিসিয়া, অন্য প্রান্তে ইউরোপের দেশ ইতালি ও গ্রিস। আগে অভিবাসনপ্রত্যাশীরা লিবিয়ার উপকূল থেকে সমুদ্রযাত্রা করতেন, কিন্তু সম্প্রতি লিবিয়ায় এমন মানব পাচারের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হওয়ার পর তিউনিসিয়ার উপকূল থেকে ইউরোপের উদ্দেশে যাত্রা করছেন বেশির ভাগ অভিবাসনপ্রত্যাশী।
বন্দর শহরের বিচার কর𒅌্মকর্তা ফৌজি মাসমুদি বলেন, “হাসপাতালের ধারণক্ষমতার বাইরে ২০০টಞির বেশি মৃতদেহ রয়েছে। যা একটি স্বাস্থ্যগত সমস্যা তৈরি করছে। আমরা জানি না তারা কারা বা তারা কোন জাহাজের ধ্বংসাবশেষ থেকে এসেছেন এবং এই সংখ্যা বাড়ছে। হাসপাতালের চাপ কমাতে প্রায় প্রতিদিনই শেষকৃত্য হয়।”
গত ২০ এপ্রিল কমপক্ষে ৩০ জনকে সমাহিত করা হয়েছিল।