আশি ও নব্বইয়ের দশকে তুমুল জনপ্রিয় ছিল ব্যান্ড সংগীত। উচ্চারণ, ফিলিংস (নগর বাউল), এল আর বি’র সঙ্গে আরও একটি নাম সে সময়ে বেশ শোনা যেত, তা হামিন আহমেদ ও শাফিন আহমেদের মাইলস। সত্তর দশকের শেষদিকে মাইলস প্রতিষ্ঠা হয়। এরপর দীর্ঘ চল্লিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে ব্যান্ডটি বিভিন্ন জনপ্রিয় গান উপহার 🍌দিয়েছে। হামিন আহমেদ, শাফিন আহমেদ, মানাম আ🎶হমেদ প্রমুখ ছিলেন এই ব্যান্ডের প্রাণ। তবে আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে ভাঙন ধরেছে এই ব্যান্ডে। একারণে অনেকদিন ধরেই শাফিনকে দেখা যাচ্ছে না মাইলসের ভোকালিস্ট হিসেবে। এমন অবস্থায় নতুন করে আবারও দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন সংগীতশিল্পী ফিরোজা বেগমের দুই ছেলে হামিন ও শাফিন।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মাইলসের সাবেক ভোকাল শাফিন আহমেদ লেখেন, “এরা (মাইলস ব্যান্ড) স্পটিফাই ও অন্যান্য স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে মাইলসের সকল গান দিয়ে আসছে ২০১৫ সাল থেকে; কায়নেটিকের মাধ্যমে। এক পয়সা রয়্যালটি এখনো আমার হাতে আসেনি। অতি সম্প্রতি আমার সুর করা গানগুলো সরিয়ে রাখা হয়েছে, আমি প্রতিবাদ করছি সেই ভয়ে। খেয়াল করে দেখেন গ্রুপ ছবি থেকে আমাকে কেটে বাদ রাখা হয়ে♛ছে। কিন্তু আমার গাওয়া গানগুলো বাজছে ঠিকই। এই কর্মকাণ্ড আবার গর্বের সা🌳থে প্রচার করা হচ্ছে। আইনের কথা বাদই দিলাম। নৈতিকতা কতখানি বিসর্জন দিলে এ রকম কাজ করা সম্ভব, ভেবে দেখেন।”
এদিকে শাফিন আহমেদের এমন মন্তব্য প্রসঙ্গে হামিন আহমেদ লেখেন, “আপনি এখানে সবাইকে বলেন না কেন? আজ পর্🔥যন্ত আপনি মাইলস থেকে কত রয়্যালটি পেয়েছেন এবং মাইলস আপনার থেকে কত টাকা রয়ꩲ্যালটি পায়। যা ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী (ঢাকা কনসার্ট) থেকে এবং ইবিএস কোম্পানি, সনি ডিএসবি, আশা অডিও ইত্যাদি থেকে আপনি নিয়েছেন।”
মাইল ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হামিন আহমেদ আরও লেখেন, “শোꩵ থেকে আপনি যেখানে বেআইনিভাবে কোনো অনুমতি ছাড়াই মাইলস এর হিট গানগুলো (ফিরিয়ে দাও, নীল, চাঁদ তারা, জ্বালা জ্বালা, ধ্বিকি ধ্বিকি, পিয়াসী মন) পারফর্ম করে যাচ্ছেন। যার কোনোটারই আপনি প্রণেতা না। যা কিনা বাংলাদেশ কপিরাইট আইনে ‘ক্♍রিমিনাল অফারেন্স’।”
শাফিন আহমেদকে প্রশ্ন করে ভাই হামিদ ভাই লেখেন, “আপনি নিজের গান দিয়ে শো করেন না 💧কেন? কেন মানাম আহমেদ ও হামিন আহমেদের গান গাইতে হয়? আর জুনিয়র কয়ꦦেকজন মিউজিশিয়ানকে দিয়ে হামিন ও মানামের গিটার ও কি-বোর্ডের স্লো হুবহু নকল বাজিয়ে নিচ্ছেন! আপনি আবার নৈতিকতার কথা বলেন?”
এ সময় উল্টো শাফিন আহমেদক🎃ে মাইলসের পাওনা অবিলম্বে পরিশোধ করতে এবং মিথ্যা ও বানোয়াট প্রচার বন্ধ করতে বলেন হামিন আহমেদ।
২০১০ সালের শুরুর দিকে প্রথমবারের মতো ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ব্যান্ড থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেনꦯ শাফিন আহমেদ। এরপর ২০১৭ সালের অক্টোবরেও ব্যান্ড থেকে আলাদা হন তিনি। সবশেষ ২০২১ সালে তৃতীয়বারের মতো এই দলটির সঙ্গে সংগীত কার্যক্রম বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন শাফি🐈ন।