শাফিন আহমেদ নামে  ꦏ;যা⛎কে আমরা চিনি তার আরেকটি নাম ছিল, যা অনেকেরই অজানা। ছেলেবেলায় শাফিন আহমেদের নাম ছিল মনোজিৎ দাশগুপ্ত। এক সাক্ষাৎকারে সেই তথ্য শাফিন নিজেই জানিয়েছিলেন।
♏শাফিন আহমেদের জন্ম কলকাতায়, ১৯৬১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি। তার নাম রাখা হয় মনোজিৎ দাশগুপ্ত। তারপর স্কুলে ভর্💦তি হওয়ার সময় তার নাম পরিবর্তন করা হয়। মনোজিৎ দাশগুপ্ত থেকে তিনি হয়ে যান শাফিন আহমেদ।
এক সাক্ষাৎকারে সেই গল্প জানিয়ে শাফিন আহমেদ বলেছিলেন, ‘জন্ম যেহেতু কলকাতায়, আমরা জানি যে, ভারতবর্ষ যখন স্বাধীন হলো, তখন হিন্দু-মুসলিমের মাঝে যে দূরত্ব বা বিবাদ, সেই সময়ে তা প্রবল ছিল। সেখান থেকেই কিন্তু দুটো দেশের জন্ম—ভারত ও পাকিস্তানের। তো ভারতে থাক🐻াকালীন অবস্থায় কমল দাশগুপ্তের মতো এ🐼কজন সংগীতব্যক্তিত্বের সন্তান তো দাশগুপ্ত নামেই পরিচিত হবে। এটাই স্বাভাবিক। এটা দাশগুপ্তের কথা বললাম, আর প্রথম অংশ এসেছে বাবা-মায়ের দেওয়া নাম থেকেই। সেভাবেই মনোজিৎ দাশগুপ্ত। ’
পরে বদলে যাওয়ার বিষয়ে এই শিল্ꦺপী বলেন, আমাদের বাসার ব্যাপারটা ছিল কি, বাবা খুবই প্রগ্রেসিভ একজন মানুষ ছিলেন। ধর্ম নিয়ে তার মধ্যে কোনো বাড়াবাড়ি ছিল না। উনি গানের জগতের মানুষ, গান ♛নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। আমরা অবশ্য ছোটকাল থেকে বড় হয়েছি মায়ের ধর্ম ইসলামকে ঘিরেই। মায়ের কারণেই ইসলাম ধর্মের চর্চাটা বাসায় ছিল। এ ব্যাপারে আব্বার কোনো মন্তব্য ছিল না। উনার কোনো দৃষ্টিভঙ্গি কখনোই তিনি চাপিয়ে দিতে চাননি। ফলে পরে পূর্ব পাকিস্তানে (বাংলাদেশ) এসে নাম শাফিন আহমেদ রাখা হয়।
অবশ্য পরিবার ও আত্মীয় স্বজনরা তাকে মনজিৎকে ছোট করে ‘মুনা’ নামে ডাকেন বলে জানান শাফিন। তিনি বলেছিলেন, ‘আমার ডাকনাম মুনা। পরিবারের অনেকে এ নামেই ডাকে। এ ছাড়া সংগীতাঙ্গনের অনেকে যারা আমাকে ছো💧টবেলা থেকে চেনেন, তারাও মুনা নামটিই আগে বলেন। ’
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) ৬৩ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন জনপ্রিয় স𒐪ংগীতশিল্পী ও ꦡব্যান্ড তারকা শাফিন আহমেদ। যিনি বাংলাদেশের ব্যান্ড জগতের কিংবদন্তিতুল্য। লাকী আখান্দ, আইয়ুব বাচ্চুদের মতো কিংবদন্তিদের সঙ্গেই উচ্চারিত হয় তার নাম।
মাইলসের হয়ে ভাই হামিমসহ শাফিন উপহার দিয়েছেন বাংলা ব্যান্ডের বেশ কয়েকটি কালজয়ী গান। গানগুলোর মধ্যে ‘চাঁদ তারা সূর্য নও তুমি’..ℱ., ‘গুঞ্জন শুনি...’, ‘সে কোন দরদিয়া...’, ‘ধিকি ধিকি...’, ‘পাহাড়ি মেয়ে...’, ‘নীলা...’, ‘প্রথম প্রেমের মতো...’, ‘কতকাল খুঁজব তোমায়...’, ‘হৃদয়হীনা...’, ‘স্বপ্নভঙ্গ....’, ‘শেষ ঠিকানা...’, ‘পিয়াসী মন...’, ‘বলব না তোমাকে...’, ‘জাতীয় সংগীতের দ্বিতীয় লাইন....’ ও ‘প্রিয়তমা মেঘ....’ অন্যতম।