ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তবে এ আসন থেকে উপনির্বাচন করতে চেয়েছিলেন জনপ্রিয় অভিনেতা সিদ্দিকুর রাহমান। কিন্তু আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র না পেয়ে মন খারাপ সিদ্দিকের। তাই মন ভালো করার জন্য সময় কাটাতে দুবাইতে উড়াল দিয়ে﷽ছেন এই অভিনেতা।
এসময় নিজের ফেজবুকে এক বার্তায় সিদ্দিক বলেন, “আসালামু আলা𝓰ইকুম, আশা🌠 করি সবাই ভালো আছেন, ভালো থাকেন। এই দোয়াই করি। অনেকেই একটা বিষয় নিয়ে আমাকে আমার ফেসবুক এবং হোয়াটসঅ্যাপে নক করেছেন। সেই জন্য এই ভিডিও বার্তা আমার।”
সিদ্দিক বলেন, “কেন সবাই আমাকে ফোন করছেন? আমি একটি স্ট্যাটাস দিয়েছি ফেসবুকে যে, আমার মোবাইল ফোন সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ। সবাই আমার সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যোগাযোগ করবেন। অনেকেইন ভে🐼বেছেন যে, আমি সিদ্দিকুর রহমান কেন মোবাইল বন্ধ করে রেখেছি। আগামী উপনির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য ঢাকা-১৭ থেকে মনোয়ন পত্র উঠিয়েছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্য হলেও এটা সত্যি যে, আমাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঢাকা-১৭ আসনের জন্য সিলেকশন করেননি। সেই কারণেই একটু মন খারাপ।”
তিনি আরও বলেন, “কিন্তু মন খারাপ হলে মানুষ কী করে? বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যায়। এ কারণেই আমি দুবাইয়ে ঘুরতে এবং কেনাকাটা করতে এসেছি। এতে নাকি মানুষের অনেকটাই মন ভালো হয়ে যায়ꦓ। সেই জায়গা থেকে আমি একটা কথাই বলতে চাই, অনেকেই বলেছেন যে, যাকে নমিনেশন দেওয়া হয়েছে সিদ্দিকুর ভাই তার হয়ে কাজ করবেন কি না? মূলত এটার জন্যই আমার এই ভিডিও বার্তা। আমি আওয়ামী লীগের লোক। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের মানুষ এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর 🔯আদর্শের সৈনিক, নৌকার মানুষ আমি।”
ছোট পর্দার এই অভিনেতা বলেন, “সেই জায়গা থেকে বলতে চাই, ঢাকা-১৭ আসন থেকে ✃যাকে নমিনেশন দেওয়া হয়েছে, আমি সত্যিকার অর্থেই তার হয়ে কাজ করব। নৌকার পক্ষে কাজ করব। আমি মনে করি, এই নৌকার মাঝি হওয়ার জন𝐆্য আমি ছাড়াও আরও ২১ জন নমিনেশন পত্র উঠিয়েছিলেন। তারা প্রত্যেকেই আমার বাবার সমতুল্য মানুষ ছিলেন। তাদের সবাইকে বলতে চাই দিন শেষে কিন্তু আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সৈনিক হয়ে বাঁচতে চাই। বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের হয়ে বাঁচতে চাই। সে জন্য আমি বলব, আসুন আমরা সবাই উন্নয়নের মার্কা নৌকার পেছনে থাকি। নৌকাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যা যা করা লাগে আমরা করব। প্রধানমন্ত্রী ঢাকা-১৭ আসনের যাকে জন্য নমিনেশন দিয়েছেন। আমরা সবাই যদি তার জন্য কাজ করি আমার মনে হয়, সেটাই হবে সত্যিকারের আওয়ামী লীগের পরিচয় দেওয়া।”
সবশেষে তিনি বলেন, “আমরা আশা করব গুলশান, বনানী, ক্যান্টনমেন্ট ও ভাসানটেকের আমরা যারা যারা আছি, এই জায়গার মানুষগুলো একত্রিত হয়ে নৌকাকে জয়ী করব। এ ছাড়া পরবর্তীতে আসছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। হয়তো আমাকে বা আমাদের কাউকে দেখতে পারেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি মনে করেন যে, তার যোগ্যতার মাপ কাঠিতে আমরা যোগ্যতা অর্জন করতে পেরেছি। তাহলে আমাদের এখান থেকেইཧ যেকোনো একজন কে দেখতে পারেন ঢাকা-১৭ আসনের জন্য কিংবা বাংলাদেশের অন্য যে কোনো একটা জায়গার জন্য।”
এর আগে শুক্রবার (ℱ৯ জুন) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভায় ঢাকা ১৭ আসনের প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়।