বিভিন্ন রকম ফুল দিয়ে সজ্জিত খাট। বিছানায় শুয়ে আছেন নায়ক ও তার মা। অন্যদিকে মুখ গোমড়া করে সোফায় শুয়ে আছেন নববধূ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি স্থিরচিত্রে এমন দৃশ্꧒য দেখা যায়। যা নিয়ে রীতিমতো হইচই পড়ে গেছে নেটদুনিয়ায়।
আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ভারতীয় টিভি চ্যানেল জি বাংলায় প্রচার হওয়া ‘কার কাছে কই মনের কথা’ সি෴রিয়ালে মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৬টায় প্রচার হয় নাটকটির একটি প🃏র্ব। এতে দেখা যায়, গল্পের পরাগ-শিমুলের ফুলসজ্জার রাতে তাদের ঘরের দরজায় কড়া নাড়েন পরাগের মা। আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন পরাগের মা। ছেলের সঙ্গে ঘুমান তিনি। আর নববধূ সোফায় শুয়ে পড়েন।
এদিকে ꦑটিভিতে নাটকটির এই পর্ব প্রচারের পর বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগপম🔜াধ্যমে জোর চর্চা চলছে। কারণ এমন চিন্তাকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেননি নেটিজেনরা। সাগরিকা পাল নামে একজন লিখেছেন, ‘এরকম দৃশ্য হতে পারে! চিন্তা করলেও ভয় লাগে।’ সৌম্য গাঙ্গুলি অন্য একজন লিখেছেন, ‘বাংলা সিরিয়াল এতটা অ্যাডাল্ট হয়ে গেছে?’ রাজ সরকার লিখেছেন, ‘লজ্জা করে না আবলতাবল সিরিয়াল বানাতে। এই ঘটনা মনে হয় পরিচালকের সাথে ঘটেছে, তাই তার সিরিয়ালের মাধ্যমে তুলে ধরেছে।’রিয়া ধর লিখেছেন, ‘ফুলশয্যার খাটে বর আর তার মা শুয়ে আছে। এটাই দেখার বাকি ছিল।’ পায়েল লিখেছেন, ‘এই সমস্ত সিরিয়াল বন্ধ করা হোক।’
টিভি সিরিয়ালে পরাগের মা অর্থাৎ শিমুলের শাশুড়ির চরিত্রে অভিনয় কর🐷েছেন রীতা দত্ত চক্রবর্তী। গল্পের এমন ভাবনাকে অনেকটা সমর্থন করেছেন তিনি। ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে রীতা দত্ত চক্রবর্তী বলেন, প্রথমত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কী লেখা হচ্ছে সে বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। কার🍷ণ আমি ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামে একদমই সক্রিয় নই। সিরিয়ালে যা দেখানো হয়েছে, তার সঙ্গে শহুরে পরিবারের কিংবা মায়েদের কোনো মিল পাওয়া যাবে না। তবে লেখক তো কিছু একটা ভেবেই এমন দৃশ্য লিখেছেন।
ফেসবুকে যারা কটূক্তি করছেন, তাদের উদ্দেশ্যে রীতা দত্ত চক্রবর্তী বলেন, যারা ছেলের সঙ্গে মায়ের ফুলশয্যার মতো কটূক্তি করছেন, সে বিষয়ে বলব এটা সম্পূর্ণ বিকৃত মানসিকতার প্রতিফলন। আমার ছেলেও বাইরে থেকে কলকাতায় এলে আমরা একসঙ্গে শুই। এমন ধরনের ভাবনা সত্যিই মেনে নেওয়া যায় না। এ সিরিয়ালে শিমুল চরিত্রে অভিনয় করেছেন মানালি দে অন্যদিকে🗹 পরাগ চরিত্র রূপায়ন করেছেন দ্র꧋োণ মুখার্জি।