মহা আয়োজনে ভারতের ধনকুবের মুকেশ আম্বানির কনিষ্ঠ ছেলে অনন্ত আর রাধিকার বিয়ে সম্পন্ন হলো। শুক্রবার (১২ জুলাই) রাতে জীবনের নতুন🧸 অধ্যায় যাত্রা শুরু করলেন অনন্ত-রা🍸ধিকা। আম্বানিদের বাসভবন অ্যান্টিলিয়া থেকে ঢাক-ঢোল, বাদ্যি বাজিয়ে বিয়ে করতে বের হয়ে জিয়ো ওয়ার্ল্ড কনভেনশন সেন্টারে গেলেন অনন্ত। সেখানেই বধূবেশে অপেক্ষায় ছিলেন রাধিকা।
অনন্ত আম্বানির বিয়েতে হয়েছে এলাহি আয়োজন। পুরো বিয়েটার দায়িত্বই নিজে হাতে সামলেছেন নীতা। বিয়েতে কোনো কমতি রাখতে চায়নি মুকেশ আম্বানি। রোলস রয়েস গাড়িতে চেপে সাত পাকে বাঁধা পড়তে বেরিয়েছিলেন অনন্ত। গাড়ি জুড়ে ছিল ফুলেল সাজ। নিরাপত্তারক্ষীদের ঘেরাটোপে সেই গাড়ি বেরিয়ে যা অ্যান্টিলিয়া থেকে। সেই সঙ্গে বিয়ের আসরের উদ্দেশে রওনা দেয় গোটা অম্বানি পরিবার। অ্যান্টিলিয়া থেকে একের পর এক বিলাসবহুল গাড়ি বেরিয়ে পডড়ে বিয়ের আসরে যাওয়ার জন♓্য।
রাত আটটায় শুরু হয় বিয়ের পর্ব। প্রথমে মালাবদল। তার পরেই সাত পাক। বরের বেশ কেমন হবে, তা নিয়ে চলছিল বেশ চর্চা। শেষমেশ প🀅্রকাশ্যে এল অনন্তের সাজপোশাক। কমলা শেরওয়ানির পরেছিলেন অনন্ত। তার পশুপ্রেমের বিষয়টিও ধরা পড়ে বিয়ের সাজে। বুকের বাঁ দিকে একটি হাতির ব্রোচ পরেছিলেন রাধিকা পতি।
কেবল অনন্তের সাজ নয়, গোটা অম্বানি পরিবারের সাজেই ছিল চমক। নীতা, শ্লোকা, ইশার পরনে গোলাপি আভার লেহঙ্গা। পরিবারের পুরুষ সদস্যদের পরনে দেখা গেছে শেরওয়ানি। ম𓄧ুকেশ আর আকাশের পরনে গোলাপি শেরওয়ানি। ইশার স্বামী আনন্দ পিরামল পরেছিলেন রুপালি রঙের পোশাক।
বিয়েতে রাধিকার সাজেও ছিল চমক। হালকা সাজে দেখা গেছে আম্বানি প📖ুত্রবধূকে। পোশাকশিল্পী আবু জানি ও সন্দীপ খোসলার নকশা করা লেহেঙ্গায় সেজেছেন রাধিকা। বধূবেশে নজর কেড়েছেন তিনি। গলায় হীরের রানিহার ও চোকার। হাতে সাদা-লাল চুড়া। ছিমছাম মেকআপে সেজেছেন আম্বানি পুত্রবধূ।
আম্বানিদের ডিজাইনার পোশাক থেকে কোটি কোটি টাকার গহনা, বিয়েতে বলিপাড়ার আগমন থেকে আন্তর্জাতিক তারকাদের উপস্থিতি- সব বিষয় নিয়েই চর্চা তুঙ্গে। বিয়ে উপলক্ষে মুকেশ আম্বানি খরচ করেছেন প্রায় ৫০০০ কোটি টাকা। ভারতীয়দের মধ্যে বিয়ের অনুষ্ঠানে এত খরচ এই প্রথম। প্রায় ৬ মাস আগে থেকে শুরু হয়েছিল প্রাক-বিবাহ আয়োজন, চলবে ১৫ জুলাই পর্যন্ত। তবে এই বিলাসবহুল বিয়ে সবার মনে থেকে যাবে অনেক দিন।