শখের তোলা ৮০ টাকা। সেই শখ পূরণে কতো কিছুই তো করে মানুষ। এবার নিজের শখ পূরণে পশ্চিমবঙ্গে🎶র আলোচিত পরিচালক সৃজিত মুখার্জি নাকি আস্ত অজগর নিয়ে এসেছেন বাসায়।
পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার জানিয়েছে, সৃজিত মুখার্জি পাইথন (অজগর) পুষছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একটি পোস্টে জানিয়েছেন, ‘উলুপিকে বাড়িতে স্বাগত। আমাদের জীবন চিরকালের জন্♏য বদলে গেল।’
এই পোস্টের পরেই পরিচালকের পরিবারে নতুন অতিথি কে, তা নিয়ে টলিপাড়ায় জল্পনা ছড়ায়। খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, সৃজিত বাড়িতে একটি পোষ্য এনেছেন। আর সেই পোষ্যটি কোনও কুকুর নয়, সেটি একটি পাইথন! পরিচালক নাকি সুদূর কলম্বিয়া থেকে এই পাইথনকে আনিয়েছেন। ‘উলুপি’ শব্দের অর্থ কী? ‘মহাভারত’ ছাড়াও বিষ্ণু পুরাণ এবং ভগবত পুরাণে নাগকন্যা উলুপিরর উল্লেখ রয়েছে। কথিত আছে, বনবাসে থাকাকালীন অর্জুনের সঙ্গে উলুপির বিবাহ হয়।
টলিপাড়ায় কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, দীর্ঘদিন ধরেই সাপ পোষার শখ সৃজিতের। সেই মতো তিনি উদ্যোগী হ𒁃ন। সূত্রের খবর, দিন দশেক আগে সৃজিত তার নতুন পোষ্যটিকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। তবে বাড়িতে পাইথন পোষা যায় কি না, তা নিয়ে রয়েছে ধন্দ। যদিও টলিপাড়া সূত্রে খবর, সৃজিত বন দফতর থেকে যাবতীয় প্রযোজনীয় অনুমতি নিয়েই পাইথনটিকে বাড𝓰়িতে নিয়ে এসেছেন। তবে পোষ্যকে আপাতত অনুরাগীদের নজরের আড়ালেই রেখেছেন পরিচালক। ছবি দেখানোর অনুরোধ করলে সৃজিত উত্তরে মজা করে বলেছেন, ‘বাচ্চাদের ছবি দেওয়া ঠিক নয়। আর একটু বড় হোক, দেব।’
শোনা যাচ্ছে, যা যা অনুমতি প্রয়োজন, সৃজিত সে সব আগেই নিয়ে রেখেছেন। তবে শুধু অনুমতি নিলেই তো হবে 𒆙না। সাপ পোষার তো ঝক্কিও অনে☂ক। পরিচালক কী ভাবে সামলাচ্ছেন? প্রশ্নের জবাবে সৃজিত বলেছেন, ‘পাইথন খুবই শান্ত প্রাণী। এ আর ঝক্কি কী! তবে আমি অনেক ছোট থেকেই সাপখোপ সামলাতে পারি। আমার কোনো ভয় নেই। বরং এই উপমহাদেশে সাপ নিয়ে বড্ড কুসংস্কার। সেগুলো ভাল লাগে না।’