কর্মময় ও ব্যক্তিজীবনে সবারই কিছু স্মৃতি, কিছু মজার ঘটনা থাকে। তারকাদের বেলায়ও তাই। আজ তুলে ধরা হল তারকাদের কিছু মজার ঘটনা-
রিয়াজ সাপটিকে পায়ে চেপে রাখে : শাবনূর
‘বিয়ের ফুল’ ছবির ‘মন না দিলে হয় কি প্রেম’ গানের শুটিং করছিলাম কক্সবাজারে। আমার পায়ের কাছেই ছিল একটি বিষধর সাপ, যা আমি খেয়াল করিনি। আর রিয়াজও বলেনি কারণ আমি সাপ ভীষণ ভয় পেতাম। রিয়াজ সাপটিকে পা দিয়ে চাপ দিয়ে ধরেই শটটি সম্পন্ন করেছᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚিল। আর পুরো ঘটনাটাই ছিল আমার অজানা! শট দেওয়ার পর আমি তা জানার সঙ্গে সঙ্গেই ভয়ে দিয়েছিলাম ൲এক দৌড়।
মায়ের কান্না থামছিল না : শাকিব খান
শাকিব জানালেন, ২০০৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘মন যেখানে হৃদয় সেখানে’ সিনেমাটা দেখেছিলেন আমার মা। সিনেমায় আমি মারা গিয়েছিলাম। মারা যেতে দেখে মার কান্না থামছিল না। আ🏅মি তখন রাঙামাটিতে অন্য একটি সিনেমার শুটিং করছি। সেখান থেকে ফোন করে আমার মায়ের কান্না থামাতে হয়েছিল।
ওমর সানিকে নিয়ে মৌসুমীর দুঃস্বপ্ন
‘দোলা’ ছবি দিয়ে প্রথম জুটি গড়লেন ওমর সানী-মৌসুমী। সেই ‘দোলা’ সিনেমার শুটিংয়ে সিলেটে গিয়ে প্রথম তাদের মনোমালিন্য হয়। তখনো তাদের মধ্যে প্রেম হবে এমনটা কেউই ভাবতে পারেননি। মনোমᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚালিন্য থেকে দুজনের সম্পর্ক কিছুটা খারাপ হয়। সেই মনোমালিন্য থেকেই আবার মৌসুমীর জন্য ওমর সানীর ভালোবাসা জন্মে। ‘আত্ম অহংকার’-এর শুটিং করতে সিলেটের জৈন্তাপুরে গিয়েছিলেন তারা। তখন তাদের মধ্যে বেশ ভালোই বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। সেখানে শুটিংয়ের সময় মৌসুমী হঠাৎ ওমর সানীকে জানান, কাল তার জন্মদিন। দুপুরে তারা একসঙ্গে খাবেন। সেই সময় ওমর সানী প্রথম মৌসুমীকে উপহার দেন। ওমর সানী নিজের গলা থেকে প্রায় চার ভরি ওজনের একটা সোনার চেইন মৌসুমীকে উপহার দেন। মৌসুমী এক রাতে দুঃস্বপ্ন দেখেন ওমর সানীকে নিয়ে। সকালে এফডিসিতে প্রবেশের আগে মৌসুমী সানীকে দেখতে তার তেজতুরী বাজারের বাড়ির সামনে আসেন। তখন ওমর সানী বুঝে গেছেন মৌসুমী তাকে পছন্দ করেন। শুটিং থেকেই তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব বাড়তে থাকে। সেই বন্ধুত্ব প্রেমে রূপ নেয়।
অনন্ত জলিল নামটা আমার ছিল না : অনন্ত
আমার নাম নিয়েই একটা মজার ঘটনা আছে। কাছের মানুষেরা আমাকে সঞ্জু নামে ডাকত। এম এ জলিল অনন্ত নামটা আমার ছিল না। তখন ঢাকার ধানমন্ডি বয়েজ স্কুলে পড়তাম। ꩲখুব দুষ্টু ছিলাম। ঠিকমতো লেখাপড়া করতাম না বলে বাবা আমার জন্য একজন গৃহশিক্ষক রেখে দিলেন। সেই শিক্ষকের নাম ছিল এম এ জলিল। তিনি ভদ্র, অমায়িক একজন ব্যক্তি। স্যারের ব্যক্তিত্ব বাবাকে এতটাই মুগ্ধ করে যে, আমার সঞ্জু নাম বদলে বাবা স্যারের এম এ জলিল নামটাই রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন। নামটা পছন্দ না হওয়ায় আমি খুব কান্নাকাটি করেছিলাম। কিন্তু বাবা ওসব পাত্তা না দিয়ে আকিকা করে রাখলেন নতুন নাম। আমার মন খারাপ দেখে বড় ভাই আমার ꦦনতুন একটা ডাকনাম দিলেন- অনন্ত। তিনি বলেন, এ নামে একদিন আমাকে সবাই চিনবে, ভালোবাসবে। ভাইয়ের কথায় আমি আশ্বস্ত হই। সেই থেকে আমি এম এ জলিল অনন্ত নামে বেড়ে উঠেছি। আর বড় ভাইয়ের কথাও আজ সত্যি হয়েছে।
স্বপ্ন পূরণ এবং সেই বন্ধু : তাহসান
ঢাকার সেন্ট যোসেফ স্কুলে🌳 আমি তখন ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ি। পাশাপাশি ছায়ানটেও গান শিখি। সেই ছোট থেকে অবচেতন মনে কাজ করত আমি একদিন বড় গায়ক হব। স্কুলে পড়া অবস্থায় আমি আমার এক বন্ধুর কাছ থেকে খাতা টেনে নিয়ে একটা অটোগ্রাফ দিই। অটোগ্রাফ দেওয়ার পর তাকে বলি, যত্ন করে খাতাটা তুলে রাখিস। একদিন না একদিন আমি অনেক বড় শিল্পী হব। তখন অটোগ্রাফের এ খাতা কাজে দেবে। বিষয়টি পরে যখন মনে হতো, আমার খুব হাসি পেত। মজার ব্যাপার হচ্ছে- কিছুদিন আগে সেই বন্ধুর সঙ্গে দেখা। সে আমাকে আমার স্কুলের জোর করে দেওয়া সেই অটোগ্রাফের কথা মনে করিয়ে দেয়। সে আমাকে বলে, তোর দেওয়া অটোগ্রাফের সেই খাতাটা আমি কিন্তু এখনো যত্ন করে রেখে দিয়েছি। আর একদিন আমি তা নিলামে তুলব...।
ঈদের জামাটা পুড়ে গেল : মেহজাবিন
আমি বড় হয়েছি দুবাইয়ে। বাবা ওখ🐼ানে চাকরি করেন। তখন দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ি। সেবারই ঈদে প্রথম সালোয়ার-কামিজ পরব। খুব উত্তেজনা আমার। দুবাইয়ে এক দর্জির দোকানে সালোয়ার-কামিজ বানাতে দিয়েছিলেন মা। ঈদের দিন ভোরে দর্জি সেই পোশাক দিলেন আমাকে। সারা রাত আমি জেগে ছিলাম। যা-ই হোক, সকালে গোসল করে নতুন পোশাক পরলাম। দু⛦পুরের দিকে মা-বাবাসহ ঘুমিয়ে পড়লাম। হঠাৎ আমার ঘুম ভেঙে গেল। নিজের দিকে তাকাতেই কান্না পেয়ে গেল। আমার এত শখের ঈদের জামা ভাঁজ হয়ে গেছে। এখন কী করব। বিকালে কীভাবে এ জামা পরে বাইরে যাব। কাপড় ইস্ত্রি করতে পারি না। তারপরেও ইস্ত্রি গরম করে যেই না কামিজের ওপর রাখলাম, সঙ্গে সঙ্গে পুড়ে গেল। সেদিন খুব খারাপ লেগেছিল।