দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি। বর্তমানে অভিনয়ের পাশাপ🌟াশি শিল্পকলা একাডেমির পরিচালকের দায়িত্বও পালন করছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রায়সময়ই নানা ইস্যুতে কথা বলে থাকেন তিনি। সম্প্রতি এশিয়া কাপে বাংলাদ🌠েশ জাতীয় দলের অভিষেক হওয়া ক্রিকেটার তানজিম সাকিবের কিছু স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে বিতর্কের সৃষ্টি হলে এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন জ্যোতি।
সোমবার (১৮𝕴 সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তানজিম সাকিবকে নিয়ে একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন জ্যোতি। যেখানে তিনি লিখেছেন, তানজিম হাসান সাকিব বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দলের একজন খেলোয়ার। কিন্তু সে এ দেশের জাতীয় সংগীত গাওয়া এবং বিজয় দিবস পালন করাকে ঘৃণা করে। তাহলে সে এ দেশের জাতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে খেলার অধিকার রাখে কি?
এ অভিনেত্রী লিখেছেন, এ রকম রাষ্ট্রদ্রোহী খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে বিসিবি দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবে আশা রাখি। এই ক্রিকেটার পেশাজীবী নারীদের নিয়ে যে নোংরা মন্তব্য করেছে, একজন কর্মজীবী নারী হিসেবে আমার সক্ষমতা-যোগ্যতা ও স্বাধীনতাকে তা চরমভাবে অপমান করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন হীন মন্তব্যকꦿারী ক্রিকেটারের আইনগত শাস্তি দাবি করছি আমি। পাশাপাশি দেশের কর্মজীবী নারীদের নিয়ে এমন বিদ্বেষ ছড়ানো খেলোয়াড়কে বাংলাদেশের জাতীয় দল থেকে বহিষ্কার করার দাবি জানাই।
জ্যোতিকা জ্যোতি আরও লেখেন, আমি জানি এ প্রসঙ্গে চুপ থাকাই নিরাপদ ভেবে অনেকেই চুপ থাকবে, আবার নিজেকে স্মার্ট প্রমাণ করতে গিয়ে কিছু লোক ইনিয়ে-বিনিয়ে ব্যক্তি ও বাꦗকস্বাধীনতার কꦺথা বলবে। কিন্তু এই দুটোই ভয়ংকর। অন্যায় করা আর অন্যায় মেনে নেওয়া সমান অপরাধ বলে আমি মনে করি। আর বাকস্বাধীনতা যদি হয় অন্যকে অপমান, কুসংস্কার ছড়ানো তাহলে সেটা নিশ্চই বাকস্বাধীনতার মধ্যে পড়ে না। আমি স্পস্টভাবে তাই আমার অবস্থান পরিষ্কার করছি।
সবশেষ অভিনেত্রী লেখেন, মগজভর্তি নারীবিদ্বেষ ও ধর্মান্ধতা নিয়ে যেকোনো মানুষ বাঁচতেই পারে, সেটা তার মতাদর্শ। কিন্তু যখন একজন প্রকাশ্যে সেসব পিছিয়ে থাকা মতাদর্শ নিয়ে বর্বর সময়কে ইঙ্গিত করে তখন সেই মতাদর্শকে আর বাড়তে দেওয়া ঠিক না। সাধারণ মানুষ হল🏅েও এড়িয়ে যাওয়া যায়, কিন্তু একজন জাতীয় দলের ক্রিকেটার যার লাখ লাখ ফলোয়ার তাকে কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া যায় না। তাহলে ঘৃণার চাষাবাদ বাড়তে বাড়তে দেশ আইয়ামে জাহেলিয়ার দিকে আগাবে।