নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা কঠিন বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ। রোববার (১৮ আ🦩গস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য কর🐼েন তিনি।
ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, “নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা কঠিন। তাই আগের পদ্ধতিতে ফেরার চেষ্টা করব। তবে আগেরটাতে ফিরে গেলেও আমরা এমনভাবে ফিরে যাব না যে বর্তমানটার সঙ্গে মিল থাকবে না। আগেরটায় ফিরে গেলে তারা যা পড়ে ফেলেছে, তার সঙ্গে মিল রাখতে হবে, সে জন্য অতিদ্রুত কিছু কাজ করতে হবে।”
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘এখানেই এতদিন ধরে আমাদের বড় ধরনের অবমূল্যায়ন হয়েছে। অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে পদগুলো শূন্য। এটা পূরণ করা খুবই চ্যালেঞ্জিং। তবে আমরা চাইব বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অতিদ্রুত পূরণ করতে।’
‘ছাত্র ও শিক্ষকদের প্রতি অনুরোধ থাকবে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেন ভালো পরিবেশ থাকে। বিশৃঙ্খলা না করে শৃঙ্খলা থাকে। নিয়মমাফিক যেন হয়, দখলদারিত্ব যেন না হয়। সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরিতে সবার সহযোগিতা দরকার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কমিটিগুলোতে দখলদারত্ব না হয়। এক দল সরিয়ে অন্য দল আসবে, সেটা চাই না। কী করা যায়, সেটা চিন্তা করব।`
তিনি বলেন, ‘শুধু অবকাঠামো উন্নয়ন দিয়ে নয়, অর্থনীতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে যদি মানবসম্পদের উন্নয়ন না হয়, তাহলে কোনো দেশ উন্নত হয় না। সে ক্ষেত্রে অর্থনীতি ও শিক্ষার মধ্যে যোগসূত্র আনার চেষ্টা করব।’
এর আগে নতুন শিক্ষাক্রমের প্রশিক্ষণসহ সব কাজ স্থগিত করে প🍌াঠ্যপুস্তক বোর্ড। এনসিটিবির চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ফরহাদুল ই🧸সলাম বলেন, নতুন শিক্ষা কারিকুলামের অধীনে কর্মশালা, প্রশিক্ষণ, গবেষণা পরিমার্জন ও সংশোধন কাজ স্থগিত করা হয়েছে। পুরো শিক্ষা কারিকুলাম স্থগিত করা হয়েছে বলে অনেকের কাছে ভুল খবর যাচ্ছে। শিক্ষা কারিকুলাম স্থগিত করার ক্ষমতা এনসিটিবির নেই। এটা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাজ।