আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ‘সংস্কারের হাওয়ায়’ বহুল আলোচিত নতুন শিক্ষাক্রম গুটিয়ে নিয়ে পুরোনো পদ্ধতিতে ফিরে যাওয়ার বার্তা দিলেন অন্তর্বর্তী🏅 সরকারের শিক্ষাউপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ।
রোববার (১৮ আগস্ট) সচিবালয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তৈরি করা এ শিক্ষাক্রম ‘বাস্তবায়নযোগ্য নয൩়’।
“আমরা আগের শিক্ষাক্রমে ফিরে যাব। কিন্তু এমনভাবে যাব যেন কোনো শিক্ষার্থীর পড়ালেখায় কোনো অস্বস্তি না হয়। এই শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নযোগ্য নয় বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। কীভাবে আমরা আগে শিক্ষাক্রমে ফিরে যাব সেটা 🌄পর্যালোচনা হচ্ছে।"
২০১০ সালের জাত꧑ীয় শিক্ষানীতি সামনে রেখে তথ্যপ্রযুক্তিতে গুরুত্ব দিয়ে সৃজনশীল শিক্ষার প্রসারে ২০১২ সালে শিক্ষাক্রম তৈরি করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। সেসময় সৃজনশীল পদ্ধতি, পিএসসি ও জেডিসি পরীক্ষাসহ নানা বিষয় নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘এখানেই এতদিন ধরে আমাদের বড় ধরনের অবমূল্যায়ন হয়েছে। অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে পদগুলো শূন্য। এটা পূরণ করা খুবই চ্যালেঞ্জিং। তবে আমরা চাইব বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অতিদ্রুত পূরণ করতে।’
‘ছাত্র ও শিক্ষকদের প্রতি অনুরোধ থাকবে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেন ভালো পরিবেশ থাকে। বিশৃঙ্খলা না করে শৃঙ্খলা থাকে। নিয়মমাফিক যেন হয়, দখলদারিত্ব যেন না হয়। সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরিতে সবার সহযোগিতা দরকার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কমিটিগুলোতে দখলদারত্ব না হয়। এক দল সরিয়ে অন্য দল আসবে, সেটা চাই না। কী করা যায়, সেটা চিন্তা করব।`
তিনি বলেন, ‘শুধু অবকাঠামো উন্নয়ন দিয়ে নয়, অর্থনীতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে যদি মানবসম্পদের উন্নয়ন না হয়, তাহলে কোনো দেশ উন্নত হয় না। সে ক্ষেত্রে অর্থনীতি ও শিক্ষার মধ্যে যোগসূত্র আনার চেষ্টা করব।’
এর আগে নতুন শিক্ষাক্রমের প্রশিক্ষণসহ সব কাজ স্থগিত করে পাঠ্যপুস্তক বোর্ড। এনসিটিবির চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ফরহাদুল ইসলাম বলেন, নতুন শিক্ষা কারিকুলামের অধ🌳ীনে কর্মশালা, প্রশিক্ষণ, গবেষণা পরিমার্জন ও সংশোধন কাজ স্থগিত করা হয়েছে। পুরো শিক্ষা কারিকুলাম স্থগিত করা হয়েছে বলে অনেকের কাছে ভুল খবর যাচ্ছে। শিক্ষা কারিকুলাম স্থগিত করার ক্ষমতা এনসিটিবির নেই। এটা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাজ।