চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীরা হাইকোর্টের দেওয়া প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরি🎀তে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ ৫৬ শতাংশ কোটা পুনর্বহালের আদেশের বিরুদ্ধে ﷽এবার চট্রগ্রাম নগরীর ২ নম্বর গেট এলাকার মহাসড়ক অবরোধ করেছেন।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে শ🐷িক্ষার্থীরা বিশ্বꦚবিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে আন্দোলন শুরু করেন।
আন্দোলনকারীরা সেখা🦋ন থেকে নগরীর ২ নম্বর গেট এলাকার চক🀅বাজার, হাটহাজারী ও নেভিগেট মহাসড়ক অবরোধ করেন।
এসময় শিক্ষার্থীদের মহাসড়কে বসে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন। এসময় শিক্ষার্থীদের হাতে ‘এ দেশের শিক্ষা ও চাকরি কারও বাপ-দাদার উত্তরাধিকার নয়!’, ‘কোটা প্রথা নিপไাত যাক, মেধার বিকাশ জারি থাক’, ‘বাপ-দাদারা অস্ত্র ধরলে, কলম ধরতে ভয় কীসের বন্ধু?’, ‘বলো রাষ্ট্র তুমি কার? কোটার না মেধার?’ ইত্যাদি প্লেকার্ড দেখা যায়।
নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী রাফি বলেন, “নিরবে কাঁদার চেয়ে আন্দোলনে নামা উত্তম। এই আন্দোলন বাংলাদেশের প্রত𝐆্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের আꩵন্দোলন। আমাদের দাবি না মেনে নিলে শরীরের শেষ বিন্দু রক্ত থাকা পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।“
দর্শন বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী আবিদ হাসান আরিফ বলেন, “আমরা স্বাধীন দেশে বৈষম্যহীনভাবে ও সমতার সঙ্গে বাঁচতে চাই। হাইকোর্টের বহালকৃত ৫৬ শতাংশ কোটা প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীর ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা চাই ১৮ সালের রায় পূর্ণবহাল রাখা হোক, না হলে আমরা আমাদের আন্দোলন চཧালিয়ে যেতে থাক🅠ব।”
এসময় আন্দোলনকারীরা চার দফ🅘ার দাবির কথা জানান। দাবিগুলো হলো-
১. ২০১৮ সালে ঘোষিত স✨রকারি🍬 চাকুরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে।
২. ২০১৮ এর পরিপত্র বহাল সাপেক্🔯ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সকল গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে।
৩. সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না ꦺএবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ 🥂দিতে হবে।
৪. দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবেꦛ।