পꦡুলিশের গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের দুই ভাই ও এক বোনের চাকরি হয়েছে। বসুন্ধরা গ্রুপ আবু সাঈদের ভাই রমজান আলীকে বাংলাদেশ প্রতিদিন-এর রংপুর ব্যুরো অফিসꦬের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী এবং আরেক ভাই আবু হোসেনকে টিভি চ্যানেল নিউজ-২৪ রংপুর ব্যুরো অফিসের জ্যেষ্ঠ নির্বাহীর পদে নিয়োগ দিয়েছে।
এ ছা🌳ড়া আবু সাঈদের ছোট বোন সুꦉমি খাতুনকে চাকরি দিয়েছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (৯🔯 অক্টোবর) দুপুরে সুমি খাতুনের হাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলী সেমিনার অ্যাটেনডেন্ট পদের নিয়োগপত্র তুলে দেন।
এ 💟সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের দ♛ায়িত্বপ্রাপ্ত প্রফেসর ড. মো. তাজুল ইসলামসহ শহীদ আবু সাঈদের দুই ভাই সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
এদিন দুপুরে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের পক্ষে ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক মো. ইয়াসিন হোসেন পাভেল পীরগঞ্জের বাবনপুরে শহীদ আবু সাঈদের গ্রামের বাড়িত🍬ে যান। সেখানে আবু সাঈদের দুই ভাই আবু হোসেন ও রমজান আলীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন তিনি।
এ সময় নির্বাহী পরিচালকের সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের হেড অব মার্কেটিং সালাউদ্দিন আহমেদ। এই নিয়োগপত্র গ্রহণ করেন শহীদ আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন। 🅘;
এ সময় শহীদ আবু সাঈদের মা মনোয়ারা বেগম, বোন সুমি বেগমসহ প্রতিবশেী ও অন্য স্বজনরা সেখানে উপস্থিত ছিল🌼েন।
শহীদ আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন বলেন, “আমি আজ অনেক খুশি। আমার দুই ছেল🏅েকে উনারা (বসুন্ধরা গ্রুপ) চাকরি দিয়েছে। আল্লাহ তাদের ভালো করুক, তাদের প্রতি রহম করুক। আমার এক ছেলেকে হারিয়েছি🍒 তার অনেক কষ্ট। কিন্তু দুই ছেলেকে বড় (ভালো) চাকরি হওয়ায় সাঈদের মা খুব খুশি হয়েছে।”
বসুন্ধরা গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক মো. ইয়াসিন হোসেন পাভেল বলেন, “আন্দোলনের🎃 শুরু থেকেই বসুন্ধরা গ্রুপ ছাত্রদের সহযোগিত🥃া করে আসছে। আমরা সর্বপ্রথম অসুস্থদের সহযোগিতা, হাসপাতালে হাসপাতালে গিয়ে তাদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেওয়া এবং সহযোগিতা করে আসছি।”
তিনি বলেন, “আমাদের গ্রু🉐পের চেয়ারম্যানের আকাঙ্ক্ষা ছিল যে শহীদ আবু সাঈদের পরিবারকে সহযোগিতা করব। আমরা আজ তার দুই ভাইকে নিয়োগপত্র দিয়েছি। আমরা তা𒅌দের সঙ্গে নিয়ে রংপুর এলাকার মানুষের জন্য কাজ করব।”
পরে তিনি পরিবারে অন্য সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন, তাদের খো🎃ঁজখবর নেন। যেকোনো সমস্যায় শহীদ আবু সাঈদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তিনি।
শহীদ আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী বলেন, অনেকে আশ্বাস দিয়েছেন কিন্তু কেউ চাকরি দেয়নি। কিন্তু বসুন্ধরা গ্রুপ আমাদের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। আজ তারা আমাদের দুই ভাইকে চাকরি দিয়েছে। আমাꦇদের𓆏 পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।
ছোট ভাই আবু হোসেন বলেন, “আমাদের চাকরি দিতে তারা আমাদের বাড়িতে এসেছেন, আমাদের খোঁজ নিয়েছেন এবং আমার বাবার হাতে আমাদ🌳ের কর্মসংস্থা🦋নের কাগজ তুলে দিয়েছেন। এ জন্য আমরা খুশি।”
শহীদ আবু সাঈদের স্বজন মাহমুদুল হাসান বলেন, “বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রথম বুকে পেতে দিয়ে শহীদ হয়েছেন আবু সাঈদ। তার এই আত্মদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। কিন্তু তার পরিবারটি অসচ্ছল-অভাবী। তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ। আমরা তাদের প🥂্রতি কৃতজ্ঞ। আমরা মনে করি, বসুন্ধরা অনেক ভালো একটি কাজ করেছে। এমন অসহায় পরিবারের প্রতি সহযোগিতা ও সহমর্মিতার হাত বাড়ানোয় আ🍬মরাও তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।”
উল্লেখ্য, ১৬ জুলাই পুলিশের গুলিতে নিহত হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কꦑ আবু সাঈদ। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প💃্রথম শহীদ।
আবু সাঈদ নিহত হওয়ার পর সারা দেশে আন্দোলন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এ♕র ধারাবাহিকতায় গত ৫ আগস্ট শেখ ꧒হাসিনা সরকারের পতন হয়।