যে কারণে এ বছর পৌনে ৩ কোটি বই কম ছাপছে এনসিটিবি

বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন পাঠ্যবই তুলে দিতে দিন-রাত চলছে বই ছাপানোর কাজ। নভেম্বরের মধ্যে ৯০ শতাংশ উপজেলায় বই পৌঁছে দিতে চায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। তবে গতবারের চেয়ে এবার কম ছাপানো হচ্ছে প্রায়𒉰 পৌনে ৩ কোটি বই।

এনসিটিবি সূত্র বলছে, ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ধরা হয়েছে ৩ কোটি ৮১ লাখ ২৭ হাজার ৬৩০ জন। তাদের জন্য বই ছাপা হচ্ছে ৩০ কোটি ৭০ লাখ ৮৩ হাজার ৫১৭ কপি। অন্যদিকে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ধরা হয়েছিল ৪ কোটি ১৫ লাখ ৩৮১ জন। ছাপা হয়েছিল ৩꧑৩ কোটি ৪৮ লাখ ৭৬ হাজার ৯২৩ কপি পাঠ্যবই।

হিসাব অন🌠ুযায়ী, গত বছরের চেয়ে এবার প্রাক্‌-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ২৮ লাখ শিক্ষার্থী🍰 কম। ফলে বইও পৌনে ৩ কোটি কম ছাপা হচ্ছে।

বৃহস্পতি𒊎বার (১৯ অক্টোবর) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে বিভাগীয় কমিশনারদের সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।

সভায় উপস্থিত কর্মকর্তারা জানা♎ন, ২০২৪ সালের শুরুর দিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ কারণে নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরুর অন্তত দুই মাস আগে পাঠ্যবই ছাপার কাজ শেষ করার পরিকল্পনা করা হয়।

টেন্𓂃ডারের পর নানান জটিলতায় এ কাজ পিছিয়ে যায়। তবে অষ্টম শ্রেণি ছাড়া সব শ্রেণির 🅰বই নভেম্বরের মধ্যে উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব বলে বৈঠকে জানিয়েছেন এনসিটিবি কর্মকর্তারা।

এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ ফরহাদুল ইসলাম বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির ৯৩ 🔯শতাংশ 🉐বই ছাপা শেষ। সেগুলো উপজেলায় পাঠানো হয়েছে। কোনো কোনো উপজেলায় পৌঁছেও গেছে। কোথাও হয়তো পথে। যেগুলো এখনো বাকি আছে, সেগুলো ১৫ নভেম্বরের মধ্যে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির সব বই ৩০ নভেম্বরের ⭕মধ্যে ছাপা শেষ হয়ে যাবে। ষষ্ঠ শ্রেণির জন্য ৬ কোটি ৪৫ লাখ ৪৮ হাজার ৩০৮ কপি বইয়ের মধ্যে ১ কোটি ৯২ লাখ ৩৪ হাজার ৩২৮ কপি বই উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে গেছে বা সরবরাহ কাজ চলমান। সব মিলিয়ে নভেম্বরের 💧মধ্যে ৯০ শতাংশ বই উপজেলায় পৌঁছে যাবে।