মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের শ্রী পঞ্চমী তিথিতে প্রতি বছর দেবী সরস্বতীর পূজা করা হয়। সরস্বতী পূজা উপলক্ষে প্রতিবারের মতো এবারও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) জোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে পূজা পালনের সব প্রস্তু▨তি প্রায় শেষের দিকে। এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ৩৬টি মণ্ডপে সরস্বতী পূজা উদযাপন করা হবে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজেও পূজার আয়োজন করা হয়েছে।
ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা গেছে, মণ্ডপ তৈরি ও সাজসজ্জায় বেশ কয়েকদিন ধরেই ব্যস্ত সময় পার করেছে সনাতন ধর্মের অনুসারী শিক্ষার্থীরা। কার্ড বিলি থেকে শুরু করে প্রায় 📖প্রতিদিন ꦅসকাল থেকে মধ্যরাত অবধি মণ্ডপের সব কাজ স্বতঃস্ফূর্তভাবে করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদ সংলগ্ন মাঠে, কলা ভবনের সামনে, শান্ত চত্বরে, নতুন অ্যাকাডেমিক ভবনের নিচতলায়, সামাজিক বিজ্ঞান ভবনের সামনে বিভিন্ন বিভাগের পূজামণ্ডপ বসানো 𝓰হয়েছে🌊।
পূজা উপলক্ষে নানান আলপনা ও বর্ণিল আলোকসজ্জায় রঙিন আমে🐓জ ফুটে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসজুড়ে। শেষ মুহূর্তে ব্যস্ত সময় পার করছেন সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা।
বেশ কয়েকদিন থেকেই পূজার জন্য আনুষঙ্গিক কাজ করা হলেও শেষ দিন সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের ব্যস্ততা ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রতিটি বিভাগই পরস্পরের চেয়ে সুন্দর পূজা উদযাপনে🦹 মগ্ন। কাঠ, খড় আর ককশিট দিয়ে তৈরি ভিন্ন ফ্রেম🅺, ব্যানার, স্টেজ ও সজ্জায় একেক মণ্ডপ একেক রূপে ফুটে উঠেছে।
পূজামণ্ডপে শেষ মুহূর্তের কাজে ব্যস্ত পরিসংখ্যান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী দীপ্ত বণিক বলেন, “বেশ কয়েকদিন থেকেই পূজার জন্য সার্বিক কাজ করছি। আমরা এবার ব্যতিক্রমভাবে পূজা উদয꧋াপন করতে যাচ্ছি। আ♛শা করছি সুন্দরভাবেই পূজা উদযাপন করতে পারব।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬তম আবর্তনের শিক্ষার্থী দিগন্ত বিশ্বাস বলেন, “আমরা পুরোদমে পূজার মণ্ডপ তৈরিতে কাজ♐ করছি। আমরা চেষ্টা করছি, যেন আমাদের বিভাগের মণ্ডপটি অন্য সবার চেয়ে ব্যতিক্ꦇরম ও আকর্ষণীয় হয়।”
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. রবীন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন, “৩৩টি বিভাগ, ২টি ইনস্টিটিউট ও বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের মণ্ডপে সরস্বতী পূজা উদযাপন করা হবে। ইসলামিক স্টাডিজ, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্💧কৃতি, ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগে পূজা হচ্ছে না। চারুকলা অনুষদের তিনটি বিভাগ মিলে একটি পূজা মণ্ডপের আয়োজন করেছে।”
পূজার নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, “বরাবরের মতো এবারও সর্বোচ্চ নিরাপত্তার সঙ্গে সরস্বতী পূজা পালিত হবে। আমরা পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডি নিয়ে সার্বক🌊্ষণিক তদারকির করছি। বিশৃঙ্খলাকারী কাউক𝕴ে ছাড় দেওয়া হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে সুন্দরভাবে সরস্বতী পূজা উদযাপনের আয়োজন চলছে। কোনোরূপ সমস্যা বা জটিলতা দেখা দিলে আমরা সেটি সমাধানে কাজ করব।”