• ঢাকা
  • সোমবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৪, ৪ ভাদ্র ১৪৩১, ১৩ সফর ১৪৪৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


মুখে লাল কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ রাবি শিক্ষকদের


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ৩০, ২০২৪, ০৪:৫৭ পিএম
মুখে লাল কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ রাবি শিক্ষকদের

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী ছাত্র হত্যা, নিপীড়ন ও হয়রানির ঘটনায় সরকার ঘোষিত রাষ্ট্রীয় শোক প্রকাশের ঘটনাকে প্রত্যাখ্যান করে মুখে লাল কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ🎶্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নিপীড়নবির💫োধী শিক্ষকরা।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়েরꦗ শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বরের সামনে থেকে র্যালি বের করেন তারা।

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাღগের অধ্যাপক ইফতেখারুল আলম মাসউদ। এই কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষক অংশ নেন।

পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সালেহ হাসান নকীব বলেন, “শিক্ষার্থীদের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনকে ভয়ঙ্কর এক জায়গায় নিয়ে গেছে সরকার। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে যেভাবে মোকাবিলা করার প্রয়োজন সেভাবে করতে ব্যর্থ হয়েছে তারা। এখনো আমাদের শিক্ষার্থীদের ওপর হয়রানি ও নির্যাতন চালানো হচ্ছে এবং ডিবিಞ কার্যালয়ে বসিয়ে বিবৃতি দেওয়ানোসহ সব ধরনের নোংরা পন্থা অবলম্বন করেছে সরকার। আমরা এগুলোর অবসান চাই এবং নির্বিচারে যেসব হত্যা করা হয়েছে তার তদন্ত করে দোষীদের বিচার চাই। এছাড়াও দ্রুত ক্যাম্পাস খুলে দেওয়ার ꦐআহ্বান জানাচ্ছি।”

ফাইন্যান্স বিভাগের অ💫ধ্যাপক ড. মো. আমজা෴দ হোসেন বলেন, “আমরা শিক্ষার্থীদের রক্তে আজ রঞ্জিত। সারা দেশে শিক্ষার্থীদের এবং সাধারণ জনতার ওপর যেভাবে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে সরকার তা সবাই দেখেছে। এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড শুধু শিক্ষকদের নয়, সারা বিশ্বের মানুষের বিবেককে নাড়া দিয়েছে। যার কারণে সরকার ঘোষিত শোককে প্রত্যাখ্যান করে লাল কাপড় মুখে বেঁধে আমরা প্রতিবাদ করছি। আশা করছি সরকার জনগণের দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেবেন। ছাত্রদের আন্দোলনের গুরুত্ব বুঝে অতিদ্রুতই সারা দেশে স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যাল খুলে দিয়ে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেবেন।”

ভেটেরিনারি অ্যান্ড এলিমেল সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোসা. ইসমা⛦ত আরা বেগম বলেন, “আমিও দুই সন্তানের মা। আমি সেই মায়েদের কথাই ভাবছি যাদের সন্তানরা তাজা রক্ত দিয়ে বলে গেল ‘আমরা আমাদের যৌক্তিক দাবি আদায় করে ছাড়ব’ এবং যাদেরকে ধরে নিয়ে গেছে তাদের অন💮েক পিটিয়েছেন। তাদের মা-বাবারা আবার সেই চিত্র টিভিতে দেখছেন। যা আমরা সহ্য করতে পারছি না। তাহলে তাদের পিতা-মাতা কীভাবে সহ্য করছে?”

অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, “শিক্ষার্থীরা কিছু যৌক্তিক দাবি নিয়ে রাজপথে নেমেছিল। আমরা দেখেছি সরকার প্রথমে ছাত্রলীগকে লেলিয়ে পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে শিক্ষার্থীদের দমন করতে লেলিয়ে দেয়। পর্যায়ক্রমে তাদের রাজপথে গুলি করে হত্যা করা হয়। শিক্ষক, অভিভাবক ও একজ♛ন বাবা হিসেবে এই শোক সহ্য করার ক্ষমতা আমাদের নেই। তাই আমরা আজ বিবেকের তাড়নায় রাস্তায় নেমেছি। আমাদের শিক্ষার্থীরা এখনো মরেনি, তারা জেগে আছে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে আছে। তারা সালাম, বরকত, নূর হোসেনের উত্তরসূরী।”

Link copied!