• ঢাকা
  • রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


দাবি না মানলে লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা ঢাবি শিক্ষক সমিতির


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ৩, ২০২৪, ০৪:১৩ পিএম
দাবি না মানলে লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা ঢাবি শিক্ষক সমিতির
ঢাবি শিক্ষক সমিতির অবস্থান কর্মসূচি। ছবি : সংবাদ প্রকাশ

সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ স্কিম বাতিলের দাবিতে সোমবার (১ জুলাই) থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি করে আসছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষক সমিতির নেতারা। শিক্ষকদের চলমান সর্বাত্মক আন্দোলন দাবি মেনে নেওয়া না হলে লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা 🍰দিয়েছেন তারা।

বুধবার (৩ জুলাই) সকাল থেকেই তৃতীয় দিনের মতো আন্দোলনের অংশ হিসেবে সর্বাত্মক কর্মবিরতি শুরু কর🦹েন শিক্ষকরা। এরপর দুপুর ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। অবস্থান কর্মসূচি থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষক নেতারা।

অবস্থান কর্মসূচিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভুঁইয়া বলেন, “আমাদের ওবায়দুল কাদের মহোদয় ডেকেছেন। আমরা শিক্ষক নেতারা তার সঙ্গে আলোচনায় বসব এবং আমাদের দাবি তুল🍰ে ধরব। দাবি মেনে নেওয়া হলে, কর্মবিরতির আন্দোলন থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করব, বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) থেকেই ক্লাসে ফিরে যাব। অন্যথায় আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে।”

ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা বলেন, “বক্তব্য পরিষ্কার, আমরা ৩ 💎দফা দাবি জানিয়েছি। প্রত্যয় স্কিম বাতিল করতে হবে, আলাদা বেতন কাঠামো💫 চালু করতে হবে এবং আমাদের জন্য সুপারগ্রেড চালু করতে হবে। দাবিগুলো যদি মেনে নেওয়া না হয়, তাহলে আমরা লাগাতার কর্মবিরতি চালিয়ে যাব।”

জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ কে এম মাহবুব হাসান বলেন, “আমাদের যা দাবি তা স্পষ্ট এবং অত্যন্ত যৌক্তিক। মঙ্গলবার (২ জুলাই) অর্থমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের দ✅াবি অযৌক্তিক। আমরা তা মনে করি না। আমরা তার এই অযৌক্তিক দাবি প্রত্যাখান করছি। আমরা ২০১৫ সালে একবার আন্দোলন করেছিলাম। তৎকালীন অর্থমন্ত্রীও এরকম অযৌক্তিক কথা বলেছিলেন। আমাদের দাবি যে যৌ🌌ক্তিক, সেটা তখন প্রমাণ করেছিলাম। আবারও আমাদের দাবির যৌক্তিকতা প্রমাণ করব। একই সঙ্গে বলতে চাই, তাদের দাবি, তাদের যে প্রত্যয় স্কিম তারা চালু করেছে। এতে যে শুভংকরের ফাঁকি রয়েছে এটা তাদের মঙ্গলবারের ব্যাখ্যাতেই স্পষ্ট হয়েছে।”

সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত ‘বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন’ প্রত্যাহার এবং পূর্বের পেনশন স্কিম চালু রাখার দাবিতে গত ২০ মে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। তার ধারাবাহিকতায় ২৬ মে বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্বব💙িদ্যালয়সহ সারা দেশের ৩৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে মানববন্ধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এরপর ২৮ মে দুই ঘণ্টা এবং ২৫-২৭ জুন তিন দিন সারা দেশে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করা হয়। পরবর্তীতে ৩০ জুন পূর্ণ কর্মবিরতি ও ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি শুরু হয়।

Link copied!