• ঢাকা
  • রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


‘বারবার বন্যা হয়, বাঁধ আর হয় না’


টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ৩, ২০২৩, ০৫:২৮ পিএম
‘বারবার বন্যা হয়, বাঁধ আর হয় না’

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও কয়েক সপ্তাহের টানা বৃষ্টিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে যমুনা নদীর পানি । ফলে নদী তীরব🧸র্তী এলাকাগুলোতে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে।𓂃 এছাড়া চরাঞ্চলে তিল ও পাটসহ নানা ধরণের ফসল পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার গোবিন্দাসী, কষ্টাপাড়া, ভালকুটিয়া, চিতুলিয়াপাড়া, খানুরবাড়ি, কোনাবাড়ি, মাটিকাটা, সিরাজকান্দি, পাটিতাপাড়া, সারপলশিয়া, নলশিয়া, ন্যাংড়া বাজার, রায়ের বাশালিয়া, কুঠিবয়ড়া, অর্জুনা, জগৎপুরা, বাসুদেবকোল, রামাইল, মেঘারপটল এলাকাসহ অর্ধশত গ্রামে ব্যাপক ভাঙন ൲দেখা দিয়েছে। ভাঙনের কবলে পড়ে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে বসতভিটা, ঘরবাড়ি ফসলি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা।

নদী ভাঙনের শিকার উপজেলার চিতুলিয়াপাড়া গ্রামের জিলকদ বলেন, “গত কয়েক সপ্তাহ ধরে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে একদিনেই আমার বসতভিটা যমুনা নদী গিলে খেয়েছে। বাড়ির পাশে থাকা জমিও নদীগর্ভে চলে গেছে। এখন সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছি। আমার থাকার জায়গাটুকুও নেই। পাঁচ-দশ কেজি চাল দিয়ে কী করব। এসব দরকার নেই। আমরা ভাঙন কবলিতরা ত্রাণ চাই না, ভাঙন♏রোধে বাঁধ চাই।”

একই গ্রামের জামাল উদ্দিন বলেন, “চোখের সামনে ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি নদীর পেটে চলে যা🦂চ্ছে। যারাই আসে, তারা শুধু দেখে চলে যায়। আর বলে আগামী 🍌বছরই বাঁধ করে দেওয়া হবে। কিন্তু বছর ঘুরে আবার বন্যা আসে, শুরু হয় ভাঙন। বাঁধ আর হয় না।”

এদিকে গত শনিবার (১ জুলাই) দুপুরে উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের ভাঙনকবলিত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য তানভীর হাসান 🀅ওরফে☂ ছোট মনির। এ সময় তিনি ভাঙন রোধে দ্রুত বাঁধ নির্মাণের আশ্বাস দেন।

গোবিন্দাসী ইউনিয়ন༒ পরিষদের চেয়ারম্যান দুলাল হোসেন চকদার জানান, যমুনায় পানি বৃদ্ধির কারণে গত কয়েক সপ্তাহ চিতুলিয়াপাড়ায়, খানুরবাড়ি, ভালকুটিয়া ও গোবিন্দাসীসহ বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। দিশাহারা হয়ে পড়েছে গোবিন্দাসীর ইউনিয়ন নদীপাড়ের মানুষ।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলাল হোসেন বলেন, “যমুনা নদীতে পা🐽নি বৃদ্ধির কারণে বিভিন্ন এলাকায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। বেশ কয়েকটি ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি এবং নিয়মিত খোঁজ রাখা হচ্ছে। ভাঙনের বিষয়টি জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে এবং জিওব্যাগ ফেলা ꦺশুরু হয়েছে।”

Link copied!