𒐪সিলেটে চা-বাগান পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের সঙ্গে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের দিনভর আলোচনার পরও কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। ফলে কর্মবিরতি প্রত্যাহার না করে তা চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন চা শ্রমি🔴কেরা।
মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে সিলট গলফ ক্লাবে সিলেট ভ্যালির ২৩টি বাগানে♏র পঞ্চায়েত নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন শ্রমিক🌌 ইউনিয়ন নেতারা। এ সময় গলফ ক্লাবের বাইরে অবস্থান নিয়ে শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করেন। বিভিন্ন বাগান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শ্রমিকরা এসে জড়ো হন সেখানে।
এর আগে সোমবার (২২ আগস্ট) সকাল থেকে সিলেট ভ্যালির ২৩টি চা-বাগানের ম𝔉ধ্যে ৪টি বাগানের শ্রমিকরা কাজে যোগ দেন। আর ১৯টি বাগানের শ্রমিকরা কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ করেন। তবে মঙ্গলবার ফের ২৩টি বাগানের শ্রমিকরা কাজে না গিয়ে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ শুরু করেন।
কামাইছড়া বাগানের পঞ্চায়েত সভাপতি বিমল ভর জানান, শ্রমিকরা মজুরি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাꦚবেন। তারা কোনো অবস্থায়ই মানছেন না। প্রধানমন্ত্র✱ী নিজে আশ্বাস দিয়েছেন কি না সেটি তারা বিশ্বাস করতে পারছেন না। তারা মনে করছেন, প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে কেউ তাদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। তাই ৩০০ টাকা মজুরি বাস্তনায়ন না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকার দাবিতে গত ৯ আগস্ট থেকে ৪ দ🐷িন ২ ঘণ্টা করে কর্মবির🐬তি পালন করেন চা শ্রমিকরা। এরপর তারা ১৩ আগস্ট থেকে পূর্নদিবস কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ শুরু করেন। এর মধ্যে কয়েক দফা বৈঠক হলেও তাতে সমাধান হয়নি। ইতোমধ্যে তারা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেন। শেষ পর্যন্ত শনিবারের বৈঠকে তাদের মজুরি ১৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হলে নেতারা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন। পরবর্তীতে শ্রমিকরা এ মজুরি মানেন না জানিয়ে ফের আন্দোলনে নামেন। কয়েক দফা বৈঠকের পর শেষ পর্যন্ত সোমবার তাদের একাংশ কাজে যোগ দিলেও মঙ্গলবার আবার তারা আন্দোলন শুরু করেন।