পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে বরগুনায় জমে উঠেছে কোরবানির পশুরহাট। ইতোমধ্যে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে হাটে আসতে শুরু করেছে বিভিন্ন জাতের পশু। খামার থেকেও বিক্রি হচ্ছে অনেক পশু। তবে এবছর গরুর 🀅দাম আগের তুলনায় বেশি বলে অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা। বিক্রেতাদের দাবী, গো-খাদ্যের বাড়তি দাম, শ্রমিকদের বেতন ও অন্যান্য খরচ বেড়ে যাওয়ায় এবার গরুর দাম বেশি।
বুধবার (১২ জুন) জেলার আমতলী উপজেলা পৌর গরুর বাজার লোকালয়ের হাট ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতা-বিক্রেতা ও পর্যাপ্ত গরুর উপস্থিতিতে জমজমাট হাট। বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম চাইলেও ক্রেতারা দরদাম করেই পছন্দের পশু কিনছেন। হাটে নিরাপত্তꦚা জোরদার করেছে পুলিশ।
গরু কিনতে আসা তুহিন গাজী বলেন, “গত বছরের তুলনায় এ বছর গরুর দাম বেশি। গত বছর যেই গরু এক লাখ টাকায় কিনেছি সღেটা এবার দেড় লাখেরও বেশি দাম চাচ্ছে।”
আরেক ক্রেতা সেলিম হোসাইন বলেন, “বিদেশি গরু বাজারে না আসায় দেশি গরুর দাম বেশি। তবুও আমরা খুশি দেশি খামারিরা লাভবান হচ্ছেন এবং সুস্বাদু পুষ্টিকর মাংস আমরা𒅌 পরিবার নিয়ে তৃপ্তি অনুযায়ী খেতে পারব।”
চুনাখালী গ্রামের গরু বিক্রেতা আবু ছালেহ বলেন, “হাটে বড় ধরনের একটি গরু এনেছি। দাম চেয়েছিলাম ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা ক𒉰িন্তু ক্রেতারা দাম বলেছে মাত্র ২ লাখ ৭০ হাজার।”
খামারি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, “গো-খাদ্যের দাম একটু বেশি থাকায় এবছর গরুর 🍷দামও গত বছরের চেয়ে একটু বেশি। শ্রমিক মজুরি বেশি থাকায় গরুর দাম কিছুটা বেশি। এ বছর লাভবান হবো বলে আশা করছি।”
হাটে ম♑েডিকেল ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা আমতলী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও ভেটেরিনারি সার্জন ডা. নাজমুল হক বলেন, সকাল থেকে কোরবানির পশু চেক করে বাজারে ঢুকানো হচ্ছে। রোগ আক্রান্ত বা কোনো ধরনের অসুস্থ গরু মহিস বাজারে ঢুকানো সম্পূর্ণ নিষেধ।
বরগুনা জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. মোহাম্মদ𓃲 শহিদুল ইসলাম বলেন, “জেলায় কোরবানির জন্য প্রায় ৩২ হাজার ২ শত ৩১টি পশুর চাহিদা রয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত পশু আছে। কৃত্রিমভাবে পশু মোটাতাজাকরণ ও রোগাক্রান্ত পশু যাতে বিক্রি না হয় সে বিষয়ে নজরদারি করা হচ্ছে।”
বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক রেজা (অর্থ ও ক্রাইম) বলেন, প্রতিটি হাটে বাড়তি নিরাপত্ত𒀰া জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ ফোর্স মাঠে রয়েছে। আর বাজারগুলোতে গরু ক্রয়-বিক্রয় করতে কারও কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। বরগুনা জেলায় সব ধরনের নিরাপত্তা আছে।