নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে লুৎফর র🐈হমান জনি (৩৫) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় মরদেহের পাশ থেকে এক☂টি চিরকুট পাওয়া যায়।
🅠শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে সিদ্ধিরগঞ্জের হাউজিং এলাকা থেকে 🍃মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
জনি ওই এলাকার মোহাম্মদ আউয়াল মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জনি সাংসারিক বিভিন্ন ঝামেলা নিয়ে হতাশাগ্রস্ত ছিলেন। ২৯ জুলাই তার স্ত্রী স্বর্ণা আক্তার (১৯) ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনার ৩৫ দিন পর তিনিও চিরকুট লিখে ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। পরে পুলিশ এসে দꦡরজা ভেঙে মরদেহটি উদ্ধার করে।
মরদেহের পাশে পাওয়া চিরকুটে লেখা ছিল, “আব্বা আপনে আমারে অনেক ভালোবাসেন। আমি✤ ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় আপনারে অনেক কষ্ট দিছি। পারলে আমারে মাফ করে দিয়েন। মাফ না করলে আমি মরেও শান্তি পাইতাম না। আমার শেষ ইচ্ছাটা রাখার চেষ্টা কইরেন আমার স্ত্রী স্বর্ণার পাশের করবটা খালি আছে সেখানে আমারে কবর দিয়েন। ঝামেলা হইলে ফরিদ মাওলানা কাকা কবরস্থানের কমিটিতে আছে, তার লগে কথা কইয়া স্বর্ণার কবরের লগে আমারে কবর দিয়েন। আমার শোয়াইবরে (ছেলে) দেখে রাইখেন। আব্বা আমি অনেক চেষ্টা করছি স্বাভাবিকভাবে থাকার। কিন্তু স্বর্ণারে ছাড়া এক দিন এক বছরের মতো লাগে। তার মৃত্যুর এই ৩৫ দিন আমার কাছে ৩৫ বছর মনে হইছে। আমারে আপনে মাফ কইরা দিয়েন আব্বা। মা আপনেও আমারে মাফ কইরা দিয়েন আপনার যত্ন নিতে পারিনি। আমি তোমাগো অনেক ভালোবাসি আব্বা-মা।”
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মোজাম্মেল হক বলেন, মৃত ওই ব্যক্তি একটি চিরকুট লিখে সিলিং ফ্য𝔉ানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।