উজানের ঢলে কয়েকদিন ধরে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে যমুনার পানি। ফলে চরাঞ্চলের নিচু জমিগুলো তলি💎য়ে মানুষের ঘরবাড়ি প্লাবিত হচ্ছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে অন্তত ২ হাজারের বেশি পরিবার।
বৃহস্🐈পতিবার (৩১ আগস্ট) সকালে সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৯৩ মিটার। ১২ ঘণ্টায় ৯ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ প﷽য়েন্টে বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৯০ মিটার।
অপরদিকে কাজীপুরের মেঘাই পয়েন্টে বুধবার সকালে পানির সমত🔯ল রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৭৫ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ৮ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ প🌃য়েন্টে বিপৎসীমা ১৪ দশমিক ৮০ মিটার।
সিরাজগঞ্জ পানি 🦂উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, “আসামে প্রচুর বৃষ্টিপাতের কারণে যমুনার পানি বাড়ছে। আজ সকালে সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। তবে কাজীপুর পয়েন্টে এখনও বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচে রয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টাতেও পানি বাড়তে পারে ব🉐লে জানান এই কর্মকর্তা।”
এদিকে যমুনার পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলার ৫টি উপজেলার প্রায় ৪২টি ইউনিয়নে চরাঞ্চলের নিচুভূমি তলিয়ে গেছে। পানি উঠতে শুরু করেছে এসব অঞ্চলের ঘরবাড়িতে। ইতোমধ্যে চৌহালী উপজেলার ১০১৫টি পরিবার পানিবন্দী হয়ে অসহায় জীবনযাপন করছে। সদর উপজেলার কাওয়াকোলা, মেছড়া, কালিয়া হরিপুর, সয়দাবাদ ইউনিয়নের মানুষগুলো দুর্ভোগে রয়েছে। দফায় দফায় পানি বাড়ার ফ♔লে এ অঞ্চলে ফসলের চাষাবাদও ব্যাহত হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।
চৌহালী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হেকমত আলী জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে এ উপজেলার ২১৯০টি পরিবারের অন্তত সাড়ে ৮ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। এসব পরিবারের তালিকা তৈরি করে জেলা অফিসে ⛎পাঠানো হয়েছে।