রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক এস তাহের হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির ফাঁসি বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) রাত ১০টা ১ ♋মিনিটে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।
বুধবা🅺র (২৬ জুলাই) এ তথ্য জানিয়েছে রাজ♚শাহী কারা কর্তৃপক্ষ।
মৃত্যুদ🅘ণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও নিহত অধ্যাপক ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলম।
মঙ্গলবার🌃 (২৫ জুলাই) দুপুর পৌনে ১টার দিকে দুই আসামির পরি💯বারের ৩৫ জন সদস্য তাদের সঙ্গে শেষ সাক্ষাৎ করেন।
এর আগে ড. মিয়া♔ মহিউদ্দিনের পরিবারের সদস্যরা শেষ দেখা করেন।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) দুপুরে কারাগারের ভেতরে রাজশাহী জেলা🐎 প্রশাসক, সিভিল সার্জন, ডিআইজি প্রিজন ও কারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ মিটিং করেছে। তবে এ নিয়ে কোনো বক্তব্য দেননি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারা কর্তৃপক্ষ।
২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাবির কোয়ার্টারের ম্যানহোলে পাওয়া যায় পদোন্নতিসংক্রান্ত বিষয়ের জেরে নৃশংসভাবে হত্যার শিকার অধ্যাপক তাহেরের মরদেহ। ৩ ফেব্রুয়ারি নিহত অধ্যাপক তাহেরের ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ রাজশাহীর মতি⛎হার থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় 🍃২০০৭ সালের ১৭ মার্চ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ।
হত্যা মামলার বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার আদালত চারজনকে ফাঁসির আদেশ ও দুইজনকে খালাস দেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, নিহত অধ্যাপক ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলম, নাজমুল আলম ও আব্দুস সালাম। ২০০৮ সালে বিচ𝔉ারিক আদালতের রায়ের পর নিয়ম অনুযায়ী ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণ) হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি আসামিরা আপিল করেন। শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় দুই আসামির ফাঁসির দণ্ডাদেশ বহাল এবং অন্য দুই আসামির দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন হাইকোর্ট।
অন্যদিকে ফাঁসির দণ্ড কমিয়ꦛে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া দুই আসামি হলেন নাজমুল আলম ও আব্দুস সালাম। এরপর আসামিরা আপিল বিভাগে আপিল করেন। পাশাপাশি যাবজ্জীবন দণ্ডিত দুই আ♏সামির দণ্ড বাড়াতে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। শুনানি শেষে গত বছরের ৫ এপ্রিল আপিল বিভাগ হাইকোর্ট বিভাগের রায় বহাল রাখেন।