ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কক্সবাজারের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টার টানা বৃষ্টিতে আরও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এসব উপজেলায় অন্তত ৪ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। পানির কারণে চট্টগ💎্রাম-কক্সবাজার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, কুতুবদিয়ায় ৭০০পরি🥃বার, পেকুয়াতে ১০ হাজার, মহেশখালীতে ৫০০ পরিবার, চকরিয়ায় ৫০ হাজার পরিবার, কক্সবাজার সদরে ১ হাজার ও ঈদগাঁও উপ🍬জেলায় ১৫০ পরিবার পানিবন্দি রয়েছে।
এ ছাড়া রামু উপজেলার ৪ ইউনিয়ন নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। ঈদগাঁও উপজেলার ঈদগাঁও, জালালাবাদ, পোকখালী, ইসলামাবাদ ইউনিয়ন, কক্সবাজার সদরের প♛িএমখালী, খুরুশকুল, পৌরসভার কয়েকটি ওয়ার্ড, কুতুবদিয়ার ৬টি ইউনিয়ন, মহেশখালীর ৩ ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকা আপাতত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের আঞ্চলিক কার্যালয়ের জ্যৈষ্ঠ পর্যবেক্ষণ কর্মকর্তা দুলাল চন্দ্র দাশ জানিয়েছ🌄েন, জেলায় সোমবার সকাল ৬টা থেকে 💝মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ১৬৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এদিকে, মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ১৭ মিলিমিটার। আরও ৩ দিন বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে। এতে পাহাড় ধসের আশঙ্কাও রয়েছে বলেও জানান তিনি।
চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল করিম ღসাঈদী বলেন, “পাহাড়ি ঢল, বৃষ্টি ও জোয়ারের ঢেউয়ে বাঁধ ভেঙে বিভিন্ন ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। চকরিয়ার ১৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ১২ ইউনিয়নের মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। এর মধ্যে ব্যাপকভাবে প্লাবিত হয়েছে কাকাড়া, লক্ষ্যরচর, বুমুবিল ছড়ি, সুরেজপুর-মানিকপুর, কৈয়ারবিল, কোনাখালী ইউনিয়ন।”
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান বলেন, “টানা চারদিনের বৃষ্টিতে ১২ ইউনিয়নের ১ লাখ ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। যারা আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন তাদের শুকনাဣ খাবার দেওয়া হচ্ছে। পানি বেশি হওয়ায় এতে𒀰 মৌসুমি সবজিসহ আউশ ধানের ক্ষেত তলিয়ে গেছে। পানিতে ভেসে গেছে সহস্রাধিক পুকুর ও মাছের ঘের। রাস্তার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় আন্তঃসড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া যেসব এলাকা প্লাবিত হয়েছে সেখানে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।”