গ্রামটির নাম ভন্ডগ্রাম। এ নামেই রয়েছে স্কুল, হাট-বাজার, কমিউনিটি ক্লিনিকসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। নিজের গ্রামের নাম বললেই হাসিঠাট্টা, কটাক্ষ ও বিদ্রূপের শিকার হত☂ে হয় গ্র✅ামবাসীকে। এমন কটাক্ষ থেকে বাদ পড়ে না স্কুলের শিক্ষার্থীরাও। গ্রামটির নাম পরিবর্তন করে নতুন নাম দেওয়ার দাবি এলাকাবাসীর।
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজ𒀰েলার নন্দুয়ার ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের একটি গ্রাম ভন্ডগ্রাম। গ্রামটিতে রয়েছে প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কমিউনিটি ক্লিনিক, সুজলা-সুফলা ফসলে মাঠ আর চারপাশ সবুজের সমারোহ। সকাল বেলা গবাদিপশু সহ কৃষক-কৃষাণীর মাঠে বেড়িয়ে যাওয়া, শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসা-যাওয়া, তপ্ত দুপুরে বয়ে যাওয়া ছোট নদীতে কিশোরদের গোসল আর বিকেলে গ্রামে বসা হাটে চলে কেনা-বেচা। একটি আদর্শ গ্রামের যা বৈশিষ্ট্য তার সবকিছুর যেন উদাহরণ গ্রামটি।
তবে গ্রামটির নাম নিয়ে জটিলতার শেষ নেই। নিজের নাম বা পেশার পরে গ্রামের নাম বললেই কটাক্ষ আর উপহাসের সম্মুখীন হতে হয়🎃 এলাকাবাসীকে। গ্রামের নাম বললেই ‘ভণ্ড’ বলে সম্বোধন করে বসেন অনেকে। যদিও কী কারণে এর নাম ভন্ডগ্রাম হল তা জানেন না এলাকার কেউও। গ্রামের এমন নাম প্রভাব ফেলছে পড়াশোনা, চাকরি, কৃষি, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সব ক্ষেত্রে।
শিক্ষক শাহজাহান আলী বলেন, পড়াশোনা ও চ♍াকরির ক্ষেত্রে নিজের পরিচয় দিলে উপহা𝔉স করেন অন্য প্রতিষ্ঠানের সহকর্মীরা। নিজের প্রতিষ্ঠানের নাম শুনলেই দৃষ্টিকটু চোখে সম্বোধন করেন সকলে।
শিক্🦂ষার্থী রাকিব বলেন, “উচ্চ শিক্ষা অর্জনের ক্ষেত্রে𒀰 বাইরে গেলে আমাদের গ্রামের নাম বলতে প্রভাব ফেলে নতুন বন্ধু বান্ধবদের মধ্যে।”
ফারুক হোসেন নামের একজন বলেন, “আমাদের বিপাকে পড়তে হয় নিজের জন্মস্থানের নাম বলতে। আর কেন ভন্ডগ্রাম নাম হলো তা জানেন না এলাকার কেউও। নামটি বদলে গেলে জন্মস্🅺থানের পরিচয় দিতে সম্মানিত বোধ করবো আমরা।”
ন𒅌ন্দুয়ার ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বারী বলেন, “আমি এলাকার সবার সঙ্গে আলোচনা করে একটি সুন্দর নাম ঠিক করে ঊর্ধ্বতন সক꧙লকে নাম পরিবর্তনের জন্য আবেদন জানাব।”