দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মন🍃সিংꩲহের ১১টি আসনের মধ্যে ১০টি আসনের ফলাফল ঘোষণা করা হলেও একটির ফলাফল স্থগিত করা হয়েছে।
রোববার (৭ জানুয়ারি) দিনভর নানা অনিয়ম-সংঘর্ষের ঘটনায় এই আসনের ভোটগ্রহণ বন্ধ হয়ে যায়। বিকেল সোয়া ৪টার দিকে উপজেলার সহনাটি ইউনিয়নের ৪০ নম্বর ভালুকাপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘ🍷টনা ঘটে।
একইসঙ্গে কেন্দ্র দখল ও ভাঙচুর করে ছয়টি ব্যালট বাক্স ছিনতাই করার ঘটনাও ঘটেছে ওই আসনে। ফলে এক কেন্দ্রের অনিয়মে আটকে গেল ময়মনস🐷িংহ-৩ পুরো আসনের ফল।
নির্বাচনী ফলাফল বলছে, ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনে নৌকা এগিয🐷়ে থাকলেও একটি কেন্দ্রের ফলাফল বাতিল হওয়ায় এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে ভোটের পার্থক্য এক হাজারেরও কম থাকায় এ আসনের ফলাফল স্থগিত রয়েছে। এ আসনে নিলুফার আনজুম পপি নৌকা প্রতীকে ৫৩ হাজার ১৯৬ ভোট পেয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সোমনাথ সাহা ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৫২ হাজার ২১১ ভোট।
নির্ব💛াচনী অনিয়ম নিয়ে ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা নরোত্তম চন্দ্র রায় বলেন, “সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে ভোটগ্রহণ চলছিল। তবে দুপুর আড়াইটার দিকে এক দুর্বৃত্ত এসে একটি কক্ষ থেকে একটি ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে নিয়ে যায়। তারপরও ভোটগ্রহণ চলছিল। বিকেল সোয়া ৪টার দিকে আরও লোকজন কেন্দ্রে হামলা ও ভাঙচুর করে পাঁচটি ব্যালট বাক্সসহ সব ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে নিয়ে যায়।”
নরোত্তম চন্দ্র রায় বলেন, “উপজেলা নির্বাহী কর্ꦯমকর্তাকে বিষয়টি জানালে তিনি আমাদের সবাইকে একটি কক্ষে অবস্থান করার নির্দেশ দেন। সব ব্যালট বাক্স যেহেতু ছিনতাই হয়ে গেছে, সেখানে ভোট গণনার কোনো প্রশ্নই আসে না। তাছাড়া আমিতো এখানকার লোকাল না। তাই কাউকে চিনতে পারিনি।”
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, ওই কেন্দ্রের ফলাফল বাতিল 🌞করা হবে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।