রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ার পদ্মা-যমুনা 🦂নদীতে আব্দুল হাই হালদার নামের এক জেলের জালে ধরা পড়েছে সাড়ে ৬ কেজি ওজনের তিনটি ইলিশ। বগুড়ার এক প্রবাসী ক্রেতা মাছ তিনটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) পাইকারের কাছ থেকে ২৬ হাজার টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
বুধ🐽বার (২ অক্টোবর) বিকেলে দৌলতদিয়া ঘাটে অনলাইনে মাছ তিনটি কিনে নেন বগুড়ার ওই ক্রেতা।
জানা যায়, বুধবার দুপুরে জেলে আব্দুল হাই হালদার তার ဣদলবল নিয়ে পদ্মা-যমুনা নদীতে মাছ শিকারে বের হন। বিকেলের দিকে তাদের জালে তিনটি বড় সাইজের ইলিশ ধরা পড়ে। তারা সন্ধ্যায় দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাটে নিয়ে মাছ তিনটির ওজন দিয়ে দেখেন ৬ কেজি ৫০০ গ্রাম। পরে ফেরিঘাটের মাছ ব্যবসায়ী সম্রাট শাহজাহান শেখ জেলে আব্দুল হাইয়ের কাছ থেকে সরাসর𓃲ি মাছগুলো তিন হাজার ৮০০ টাকা কেজি দরে ২৪ হাজার ৭০০ টাকা দিয়ে কিনে নেন।
শাকিল-সোহান মৎস্য আড়তের মালিক সম্রাট শাহজাহান শেখ বলেন, “পদ্মার বড় ইলিশের চাহিদা অনেক। ক্রেতাও রয়েছে ভালো। সন্ধ্যার দিকে জেলে আব্দুল হাই হালদার মাছ তিনটি দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাট এলাকায় নিয়ে এলে আমি তার কাছ থেকে তিন হাজার ৮০০ টাকা কেজি দরে𝔍 ২৪ হাজার ৭০০ টাকায় ক্রয় করি। পরে নিজের ফেসবুক পেজে মাছের ছবি দিয়ে একটি পোস্ট করলে কিছুক্ষণ পর এক লন্ডন প্রবাসী ভাই আমার সঙ্গে ফেসবুকে যোগাযোগ করে বগুড়ায় তার আত্মীয় স্বজনের জন্য মাছ তিনটি চার হাজার টাকা কেজি দরে মোট ২৬ হাজার টাকায় কিনে নেন। পরে আমি আমার লোক দিয়ে মাছ তিনটি বগুড়ায় তার বাড়িতে পাঠাই।”
রাজবাড়ী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও🅘 সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মোস্তফা আল রাজীব বলেন, “দুই কেজি🌳 ওজনের ইলিশ মাছ সচরাচর কম দেখা যায়। এখন প্রায়ই দৌলতদিয়ায় বড় সাইজের ইলিশ মাছ জেলেদের জালে ধরা পড়ছে। এই মাছগুলো বিক্রি করে জেলেরা লাভবান হচ্ছেন।”