ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র কারণে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার সঙ্গে জেলা সদরসহ সারা দেশের নৌ যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকাল থেকে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ🐻তে দুর্ভোগে পড়েছেন অনেকেই। এছাড়া মাছ ধরার নৌকাগুলোকে সতর্কতার সঙ্গে চলতে বলা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুরাইয়া আক্তার লাকী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মানুষের জানমাল রক্ষায় সকাল থেকে হাতিয়া-বয়ারচর চেয়ারম্যান ঘাট সি-ট্রাক চলাচল ব🍸ন্ধ রয়েছে। সব নৌযানকে নিরাপদে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ⛦কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে উপকূলীয় জেলা নোয়াখালীতে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে উপকূলীয় এলাকায় নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৫ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের বাস💞িন্দা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। দোকানপাটে মানুষ নেই। বেশিরভাগ মানুষ ঘরে বসে আছে। কাজে যেতে পারছে না। সতর্ক সংকেত একের পর এক বাড়তে থাকলেও মানুষের মাঝে সচেতনতা নেই।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুরাইয়া আক্তার লাকী বলেন, মিধিলি মোকাবিলায় হাতিয়াতে ২৪২টি সাইক্লোন শেল্টার ও ৩০টি উঁচু⭕ স্থাপনা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় মিধিলি নিয়ে উপকূলীয় সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের প্রাথমিকভাবে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংকেত ও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।