এশিয়ার সর্ববৃহৎ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় দিনাজপুরের গোর-এ শহীদ ময়দানে। এখানেই রয়েছে বাংলাদেশ তথা এশিয়ার সর্ববৃহৎ ঈদগাহ মিনারཧ। পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ আদায়ের উদ্দেশ্যে প্রতিবারের মতো এবারও মুসল্লিদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে মাঠটি। এ বছর ব্যতিক্রমী হিসেবে থাকছে জেলার বাইরে থেকে আসা মুসল্লিদের জন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা।
মঙ্গলবার (২৮ জুন) বিকেল ৬টায় জাতীয় সংদের হুইপ ইকবালুর রহিম এই মাঠ পরিদর্শন করেন। এ সময় মুসল্লিদের জন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থার বিষয়টি তিনি গণমাধ্যমকে জানান। তিনি জানি🔴য়েছেন, এ বছর প্রায় এই মাঠে সাড়ে ৪ থেকে ৫ লাখ মুসল্লি ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ঈদুল ফিতরে জেলার গোর-এ শহীদ ময়ﷺদানে প্রথম সর্ববৃহৎ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ওই সময় ঈদের জামাতে অংশ নিয়েছিলেন প্রায় ছয় লাখ মুসল্লি। এর আগে ২০১৫ সালে এই মাঠে জেলা প্রশাসন দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ ঈদগাহ মিনার নির্মাণ কাজ শুরু করে। যা মোঘল স্থাপত্যরীতির একটি নিদর্শ♛ন। জানা যায়, এই মিনার নির্মাণের অর্থায়ন করেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম।
এদিকে মাঠ পরিদর্শনের সময় ইকবালুর রহিম বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ এবং এশিয়ার সর্ববৃহৎ ঈদের জামাতের জন্য দিনাজপুর গোর-এ শহীদ বড় ময়দান প্রস্তুত করা হয়েছে। আমরা আশা করছি এবার সাড়ে ৪ থেকে ৫ লাখ মুসল্লি জামাতে অংশ নেবেন। এই জামাতের বিশেষ বৈশিষ্ট্য, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ব♏ঙ্গবন্ধু কন্যা মুসল্লিদের সুবিদার্থে দুইটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছেন। একটি ঠাকুরগাঁও থেকে দিনাজপুর এবং আরেকটি পার্বতীপুর থেকে দিনাজপুর পর্যন্ত মুসল্লিদের আনা নেওয়া করবে।”
মাঠ পরিদর্শনকালে উপস্থিত থেকে পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ বলেন, “মুসল্লিদের কথা বিবেচনা করে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকের পুলিশ, র্যাব, ডিবি পুলিশও মোতায়েন থাকবে এই ঈদের জামাতে। 𝓡আমরা আশাবাদী নিরাপদে মুসল্লিরা এখানে নামাজ আদায় করবেন।
🌟বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। এ দিন গোর-এ শহীদ ময়দানে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ শুরু হব💖ে সকাল সাড়ে ৮ টায়।