• ঢাকা
  • সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


রমজানে চড়া মৌসুমি ফলের বাজার


কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ৩১, ২০২৩, ০১:১১ পিএম
রমজানে চড়া মৌসুমি ফলের বাজার

রমজান মাসের প্রথম সপ্তাহ পেরোতে না পেরোতেই বেড়েছে মৌসুমি সব ফলের দাম। তরমুজ, আতাফল, কমলা, ডাব, কলাসহ সব ধরণের ফল বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে।🍌 ফলের দোকানগুলোতে মূল্য তালিকা না থাকায় সঠিক মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ক্রেতারা।

শুক্রবার (৩১ মার্চ) সকালে এমন চিত্র দেখা গেছে কুড়িগ্রাম জেলা শহরের পুরাতন জিয়া বাজার ও আদর্শ পৌ🔯র বাজারের ফলের দোকানগুলোতে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, মৌসুমি ফল তরমুজ কেজি প্রতি ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগে এ ফলটি পিস হিসেবে বিক্রি হতো। তিন ধরণের খোলা খেজুর বিক্রি হচ্ছে একেকটি একেক দামে। মরিয়ম খেজুরꦆ প্রতি কেজি ৬০০ টাকা, সাদা খেজুর প্রতি কেজি ৪০০ টাকা ও খুরমা খেজুর প্রতি কেজি ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহেও কেজিতে ৩০-৪০ টাকা কমে বিক্রি হতো। কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে আপেল বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা করে। সপ্তাহের ব্যবধানে পেয়ারা ৩৫ টাকা বেড়ে ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আতাফল প্রতি কেজি ২০০ টাকা, কমলা ২৫০ টাকা, মাল্টা ২৪০ টাকায় কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে প্রতি পিস বড় বেলের দাম ছিল ২৫ টাকা, যা বর্তমানে প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। গত সপ্তাহে কলার হালি ছিল ২০ টাকা, যা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়।

ফলের এরকম চড়া দামে বিপাকে স্বল্প আয়ের মানুষ। চড়া দামের কারণে অনেকে ফল না নিয়েই ফ🌃িরছেন খালি হাতে। কেউ কেউ স্বল্প পরিমাণের খেজুর কিনলেও অন্য ফল কিনছেন না। ফলে ইফতারের তালিকা থেকে বাদ পড়ছে পুষ্টিকর ফল।

ফল কিনতে আসা পৌর শহরের মাসুদ রানা বলেন, “গত পরশুদিন কলা ২০ টাকা করে হালি কিনলাম। আজ ৩৫ টাকা চাইলেও ꦕ৩০ টাকার কম দিচ্ছে না। খোলা খেজুরের ৪০০ গ্রামের প্যাকেট ছিলো ৪৫ টাকা, রমজানের কারণে সেই খেজুর ৬০ টাকার কমে দিচ্ছে না।”

রিয়াজুল ইসলাম নামে🥀র আরেক ক্রেতা বলেন, “রোজা শুরুর আগেও ৩৫ টাকা কেজি করে তরমুজ কিনলাম, আজ সেই তরমুজ ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছে। এরকম ১𒆙০-২০ টাকা করে ফলের দাম বাড়লে তো ফল খাওয়াই বাদ দিতে হয়।”

দুলাল মোল্লাহ নামের আরেক ক্রেতা বলেন, “মেসের ইফতারির জন্য তরমুজ, খেজুর আর কলা নিতে আসছি। যে দাম বলে, তাতে 𒁃সব ফল কেনা সম্ভব না। তা💎ই অল্প করে শুধু খেজুর কিনলাম।”

কুড়িগ্রাম কেন্দ্রীয় জামে মসজিদꦬের সামনের ফল ব্যবসায়ী মো. কবিদ বলেন, “রমজান মাস। ফলের চাহিদা খুব। সবাই ফল কেনে। চাহিদা বেশি, জোগান কম। তাই প্রতিটি ফলে ১০ থেকে ২০ টাকা করে দাম একটু বাড়ছে।”

আরেক ফল ব্যবসায়ী মো.আসুদ্দি বলেন, “বাজা📖রে জিনিসপত্রের যে দাম। আমরাও বাড়তি দামে এই ফলগুলা কিনি আনি। তাই একটু ব𒁃েশি দামে বিক্রি না করলে আমাদের পোষাবে না, লাভ কম হবে।”

ফলের দোকানগুলোতে বাড়তি দাম নেওয়া ও মূল্য তালিকা না থাকার বিষয়ে কুড়িগ্রা꧙ম ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “ফলসহ বাজারের অধিকাংশ দোকানে মূল্য তালিকা না থাকার বিষয়টি সঠিক নয়। আমরা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি। যখন বাজার মনিটরিং করছি তখন প্রতিটি দোকানে মূল্য তালিকা থাকে। আমরা চলে আসার পর হয়তো তারা এটি সরিয়ে ফেলতে পারে। আমরা জনস্বার্থে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। বিষয়টি দেখবো।”

Link copied!