• ঢাকা
  • বুধবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৪, ১২ ভাদ্র ১৪৩১, ২২ সফর ১৪৪৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


সচেতনতা বাড়াতে সমুদ্রসৈকতে প্রদর্শিত হচ্ছে প্লাস্টিক ভাস্কর্য


কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০২৩, ১০:১১ পিএম
সচেতনতা বাড়াতে সমুদ্রসৈকতে প্রদর্শিত হচ্ছে প্লাস্টিক ভাস্কর্য
সমুদ্রসৈকতে ‘প্লাস্টিক সমুদ্র’ নামের ভিন্নধর্মী প্রদর্শনী। ছবি- সংবাদ প্রকাশ

জলজ প্রাণী, খাদ্য শৃঙ্খল ও মানুষের জীবনের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে পরিত্যক্ত প্লাস্টিক সামগ্রী। তাই প্লাস্টিক জাতীয় পণ্য ব্যবহারে সংযমী, সচেতন ও নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতি অবলম্বনে জনগণকে সচেতন করতে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে ‘প্লাস্টিক সমুদ্র’ নামের ভিন্নধর্মী এক প্রদর্꧒শনীর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে সৈকতের সি গাল পয়েন্টে বেলুন💃 উড়িয়ে ‘প্লাস্টিক সমুদ্র’ নমুনা প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান।

সমুদ্রসৈকতের বালিয়াড়িতে নানা ধরনের প্লাস্টিক সামগ্রী ব্যবহার করে দর্শনার্থীদের দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে নীরবে-অগোচরে, অজান্তে𒅌 প্লাস্টিক কীভাবে মানুষের ক্ষতিসাধন করছে।

প্রদর্শনীতে একটি প্ল্যাকার্ডে লেখা রয়েছে, ‘মানুষের আবাসস্থল, সেটা হোক বাসাবাড়ি কিংবা আবাসিক হোটেল। সেখান থেকে প্লাস্টিকের বর্ꦕজ্য ফোয়ারার আকারে বেরিয়ে ভূমিতে, জলাশয়ে বা সমুদ্রে গিয়ে পড়ছে। যা জাহাজের মতো করে ভাসতে থাকে। সামুদ্রিক মাছ, প্রাণী, গাংচিল তাদের খাবার মনে করে তা গ্রহণ করে যা পরবর্তী সময়ে হজম হয় না। যার কারণে অকালে মারা যায় নিষ্পাপ প্রাণিগুলো। বড় বড় প্লাস্টিকের টুকরো ও পরিত্যক্ত জালে আটকে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে কাছিমের মৃত্যু ঘটে। মরে পড়ে থাকা মাছ কিংবা গাংচিলের পেটে ছোট ছোট প্লাস্টিকের বোতল আর টুকরোগুলো বলে দেয় যত্রতত্র প্লাস্টিক সামগ্রীর দূষণে মারাত্মক ক্ষতির মুখে স্বাভাবিক বাস্তুসংস্থান। ফলে নির্মমভাবে ধ্বংস হচ্ছে জীববৈচিত্র্য।’

বিদ্যানন্দের বোর্ড মেম্বার মোহাম্মদ জামাল উদ্দীন বলেন, “কক্সবাজারে শীত মৌসুমে সারা দেশ থেকে প্রচুর পর্যটক আসেন। এই সময় পর্যটকরা যেন যত্রতত্র প্লাস্টিক না ফেলেন এবং প্লাস্টিক রিসাইকেল নিয়ে সচেতন হন, এ বিষয়ে সচেতন করতেই মূলত এই আয়োজন। বিদ্যানন্দ স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান হলেও কক্সবাজার জেলা প্রশাসনকে পাশে পেয়েছে বলে সম্ভব হয়েছে এমন ভিন্নধর্মী আইডিয়া বাস্তবায়ন করা। আশা ক🐟রছি, বিনোদনের পাশাপাশি মানুষের অভ্যাস পরিবর্তনে এই প্রদর্শনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”

কক্সবাজার সৈকতের বালির ওপর নির্মিত হয় পাঁচটি ভাস্কর্য। যার মধ্যে রয়েছে বা𝓀ড়ি, জাহাজ, কাছিম, সামুদ্রিক কোরাল ও গাংচিল। প্লাস্টিকের কারণে এসব প্রাণীর ভয়াব𝄹হ অবস্থা দেখে অনেকেই অবাক হচ্ছে এবং সচেতন হবার প্রতিজ্ঞা করছেন।

পর্ဣযটক কামরুল হাসান বলেন, “প্লাস্টিক এভাবে আমাদের ক্ষতি করছে আগে তো কোনোদিন এভাবে চিন্তা করিনি। এখন বালিয়াড়িতে এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে বুঝতে পেরেছি, প্লাস্টিক মারাত্মক ক𝐆্ষতিকর।”

আরেক পর্যটক ইয়াছিন আরা চুমকি বলেন, “আমরা সৈকতে বেড়াতে এসে প্লাস্টিক বোতল, চায়ের কাপ কিংবা খাবারের প্যাকেট যত্রতত্র বালিয়াড়িতে ফেলে দিই। কিন্তু চিন্তা করিনি, এই প্লাস্টিক সমুদ্রে গিয়ে সমুদ্র দূষণের পাশাপাশি সামুদ্রিক প্রাণীসহ জীব বৈℱচিত্র্যের মারাত্মক ক্ষতি করে। এখন থেকে এসব অভ্যাস পরিত্যাগ ꩲকরব, যা এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে শিখতে পারলাম।”

এর আগে প্রদর্শনী উদ্বোধন করে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, “আমাদের অসচেতনতার কারণেই নির্মমভাবে ধ্বংস হচ্ছে আমাদের জীববৈচিত্র্য। আজ꧅ এই কাজটি করার♛ ক্ষেত্রে উপকরণ হিসেবে নানা ধরনের প্লাস্টিক সামগ্রী ব্যবহার করে দর্শনার্থীদের দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে, প্লাস্টিক কীভাবে মানুষের ক্ষতি করছে। মূলত পর্যটক ও স্থানীয় দর্শনার্থীদের সচেতন করতে এই আয়োজন করা হয়েছে।”

বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা কিশোর কুমার দাশ বলেন, “আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহারের পর ফেলে দে🐎ওয়া প্লাস্টিক ও পলিথিন জাতীয় বর্জ্যগুলোর খাল, নালা, নদী হয়ে সর্বশেষ আশ্রয় হচ্ছে সমুদ্রে। প্লাস্টিকের মতো অপচনশীল উপকরণের দীর্ঘ সময় ধরে টিকে থাকা, মাটির উর্বরতা হ্রাস, সামুদ্রিক মাছ ও প্রাণীর জন্য হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে প্লাস্টিক জাতীয় পণ্য ব্যবহারে আরও বেশি সংযমী, সচেতন ও নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতি অবলম্বনে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতেই ভিন্নধর্মী এই প্রদর্শনী।”

Link copied!