দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী। অথচ হিলি বন্দরের গুদামে সংরক্ষণ করা পেঁয়াজ পচতে দেখা যায়। পচন ধরা এসব পেঁয়াজ ১০-১৫ টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে। গত শনিবার ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয়। এতে বেশি দামে পেঁয়াজ🎐 আমদানি করতে হবে আমদানিকারকদের। তাই বেশি লাভের আশায় আগের আমদানি করা পেঁয়াজ মজুদ করে রেখেছেন আমদানিকারকরা। তীব্র গরমে গুদামে মজুদ করা এসব পেঁয়াজ পচতে শুরু করেছে।
হিলি বন্দর ঘুরে দেখা যায়, কিছুসংখ্যক আমদানিকারকের গুদামে বস্তায় ও মেঝেতে🍷 বিছিয়ে রাখ🉐া আছে পেঁয়াজ। যা ইতিমধ্যে পচন ধরেছে। এসব পেঁয়াজ প্রকার ভেদে ১০-৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
হিলি স্থানীয় বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভারত থেকে আমদানি করা ইন্দ্রো ও নাসিক জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ 🏅টাকা কেজি দরে। খুচরা ব্যবসায়ীরা আমদানিকারকদের কাছ থেকে ৪৪ থেকে ৪৬ টাকা কেজি দরে কিনে আনছেন।
বুধবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে হিলিতে কাঁচা বাজার করতে এসেছিলেন একাব্বর মণ্ডল। তিনি বলেন, “বা𒅌জারে ২-৩ প্রকারের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছ💎ে। প্রকারভেদে এসবের দাম ৫০ টাকা পর্যন্ত। আমি ৪৯ টাকা কেজিতে ১০ কেজি কিনলাম।”
হিলি বাজারে রাস্তার ধারে ভ্রাম্যমাণ দোকান থেকে পেঁয়াজ কিনছিলেন এনজিও কর♏্মী ফাতেমা আক্তার। তিনি বলেন, “আমি একা মানুষ। সপ্তাহে ৩ দিন বাজার করতে আসি। পেঁয়াজের দাম হাতের নাগালের বাহিরে। ৪৪ টাকা কেজি দরে ৫০০ গ্রাম পেঁয়াজ কিনলাম। তবে পেঁয়াজের চামরার ওপরের অংশটি কালো বর্ণ ধারণ করেছে। দুই একদিনের ভেতর এসব পেঁয়াজ পচে যাবে।”
হিলি বাজারের ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম 🥃বলেন, “পেঁয়াজের ওপরে ভারতের শুল্ক আরোপের খবরে বেচাকেনা কম। আবার চাহিদা মতো পেঁয়াজের সরবরাহও নেই। আমরা ৪৫ টাকা কেজি করে কিনে তা একই দামে পাইকারি বিক্রি করছি। পেঁয়াজ পচে যাচ্ছে। বর্তমানে এসব নষ্ট পেঁয়াজ ১০ ট✅াকা ১৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।”