• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৯ আগস্ট, ২০২৪, ১৪ ভাদ্র ১৪৩১, ২৩ সফর ১৪৪৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


ঈদের আগে বেচাকেনা নেই বৌ বাজারে


বিজন কুমার, দিনাজপুর
প্রকাশিত: এপ্রিল ২১, ২০২৩, ০৫:৪৪ পিএম
ঈদের আগে বেচাকেনা নেই বৌ বাজারে

প্রতি সপ্তাহের শেষ দিন শুক্রবার দিনাজপুর জেলা শহরের চারুবাবুর মোড় থেকে মালদাহপট্টি পর্যন্ত রাস্তার পাশে বিভিন♔্ন ধরনের কাপড়ের দোকান বসে।  এলাকাবাসীর কাছে এটি ‘বৌ বাজার’ নামে পরিচিত। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে বাজারের ক্রয়-বিক্রয় কার্যক্রম।এখানকার অধিকাংশ ক্রেতাই নিম্ন থেকে মধ্যবিত্ত। তবে উচ্চবিত্তরাও অনেক সময় ভিড় জমান এই বাজারে। এদিকে ঈদের আগের দিন তেমন বেচাকেনা নেই বলে জানিয়েছেন ব্যবস🐼ায়ীরা।

শুক্রবার (২১ এপ্রিল) ছিল পবিত্র ঈদুল ফিতরের উপলক্ষে শেষ বাজার। তবে ঈদের আগের দিনের বাজারে ক্রেতা সমাগম বাড়লেও তেমন বিক্রি নেই বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। অপরদিকে ঈদের আগের দিন হওয়ায় কাপড়ের দাম বিক্রেতারা অতিরিক্ত চাচ্ছেন বলে অꦯভিযোগ ক্রেতাদের।

সরেজমিনে শুক্রবার বেলা ১১ টায় দেখা যায়, ক্রেতা সমাগমে সরগরম হয়ে উঠেছে বাজারটি। শাড়ি, থ্রি-পিস, বাচ্চাদের কাপড়, প্যান্ট, শার্ট, পাঞ্জাবী, জুতা, লুঙ্෴গি, টি-শার্টসহ বিভিন্ন পোশাক সাজানো হয়েছে দোকানগুলোতে। ক্রেতা-বিক্রেতারা দরদাম করছেন।

আনারুল ইসলাম নামের এক বিক্রেতা বলেন, “রমজানে আরও কয়েক মার্কেট আমরা করেছি। আজকে শেষ দিনে আমরা আশা করেছিলাম, ভালো বেচা-বিক্রি হবে। কিন্তু পুরোটাই হলো উল্টো। অন্য🌱দিনে বেলা ১১টার মধ্যে ১৪ থেকে ১৫ হাজার টাকা বেচা-বিক্রি হয়। কিন্তু আজকে এখন পর্যন্ত ৮ হাজার টাকাই হয়নি। দেখি🅺 আল্লাহ্ কি করে।”

লুৎফর রহমান নামের এক বিক্রেতা বলেন, “রমজানের শে💜ষ বাজারে কোনো রকমে বেচা-বিক্রি চলছে। অন্যান্য বার শেষ বাজারে ভালো বিক্রি হয়। কিন্তু এবার তেমন নাই। আসলে হয়েছি কি জিনিসপত্রে দাম বাড়েগেছে। মানুষের কাছে নাই টাকা। তাই এমন পরিস্থিতি।ﷺ কিছু করার নাই।”

বুলবুলি চৌধরী নামের এক নারী কাপড় বিক্রেতা বলেন, “এই বাজারে সব শ্রেণির মানুষ আসেন। বড়লোকরাও (ধনী) আসেন। অন্যান্য দিনের তুলনায় আজকে একবারই খারাপ। আশা করছিলাম, শেষ দিন বিক্রি হবে ২০ হাজার টাকা। 🍒কিন্তু এখন পর্যন্ত অর্ধেকও হয়নি।”

আফসরা খাতুন নামের এক ক্রেতা বলেন, “💜জমজমাট হয়ে উঠছে বাজার। কিন্তু কিনতে পারতেছি না। দুইটা লুঙ্গি কিনতে পারছি। কাপড়ের যে দাম, আর মনে হয় কিনতে পারব না। এখনই বাড়ি চলে যাব।”

সাদ্দাম হোসেন নামে এক ক্রেতা বলেন, “বৌ বাজারে বৌকে নিয়ে আসছি। কিন্তু জিনিসের দাম বেশি। কিনতে পারছি না। ♛তারপরেও ঈদ করতে হবে। তাদের আনন্দ আছে। আমার না হোক তাদের দিতে হবে। তাই কষ্ট হলেও কিনতে হচ্ছে। কিন্তু যারা খেটে খ🍨াওয়া মানুষ এই বাজারেও তাদের কেনাকাটা হবে বলে মনে হয় না।”

রেজাউল ইসলাম নামের এক ক্রেতা বলেন, “এক✱ ঘণ্টা আগে বাজারে আসছি। তেমন কিছু কিনতে পারিনি। খুবই কষ্ট হচ্ছে কিনতে। প্রচুর দাম। এই বাজারে এত দাম দিয়ে কেনা অসম্ভব প্রায়। অনেক দরকষাকষি করে নিতে হচ্ছে।”

Link copied!