দেশের প্রথম বাণিজ্যিক কুমির খামার ময়মনসিংহের ভালুকা অবস্থিত র্যাপটাইলস ফার্ম পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। নতুন আঙ্গিকে সাজানো এ কুমির খামার꧟টি দেশি-বিদেশি পর্যটক, গবেষক ও শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করবে—এমনটাই ধারণা হাইকোর্টের নির্দেশনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচালনা পর্ষদের।
আন্তর্জাতিক মানের এ খামারটিতে ২ হাজার ৫২৬টি ছোট-বড় কুমির রয়েছে। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে রয়েছে অবকাঠামো উন্নয়ন ও সংস্কার কর্মসূচির পাশাপাশি দৃষ্টি꧅নন্দন পিকনিক হল, সেমিনার রুম, ক্যান্টিন, রেস্টহাউজসহ নানা স্থাপনা।
খামারের পরিচালক ড. নাঈম আহমেদ বলেন, ২০২২ সালে কুমির খামারটি পরিচালনার জন্য হাইকোর্ট থেকে ৬ সদস্যের কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়ার সময় নানা অব্যবস্থাপনা, টানাপোড়ন, অর্থনৈতিক সংকট ও খাদ্য সংকটে কুমির ফার্মটিরꦫ অচলাবস্থা ছিল। কুমিরগ🐻ুলোর পরিচর্যা না হওয়ায় এবং খাদ্য সংকটে নানা রোগবালাই দেখা দিয়েছিল, কুমির মারা যাচ্ছিল। বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ তড়িৎ পরিকল্পনা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করায় কুমিরের নানা রোগবালাই ও মৃত্যুরোধ সম্ভব হয়েছে।
পর্ষদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কুমির বিশেষজ্ঞ এনাম হক জানান, নতুন মালিকানায় সংকট কাটিয়ে পুরোদমে শুরু হয় খামারের কাজ। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিয়মিত বেতন-ভাতা বুঝে পেয়ে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসে। বিশ্ব বাজারে কুমিরের চামড়া, মাংস, হাড়, দাঁত চড়া দামে বিক্রি হয়। ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, স্পেনসহ বিভিন্ন দেশে এগুলোর ব্যাপক চাহিদাꦬ রয়েছে। বর্তমানে খামারটিতে দুই হাজার ৫২৬টি ছোট-বড় ও বাচ্চা কুমির রয়েছে। খামারটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করতে এবং আয়ের উৎস বাড়াতে নানা কর্মপর💙িকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। খামারটি উন্মুক্ত করে দেয়ায় দেশি-বিদেশি পর্যটক, গবেষক ও শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করবে।