রাজধানীর বেইলি রোডের বাণিজ্যিক ভবনে আগুন লেগে প্রাণ হারানো ৪৬ জনের মধ্যে মধ্যে একজন বরগুনা সদর উপজেলার ভ্যানচালক মো. নান্টুর ছেলে নাঈ🅺ম। মাত্র তিন দিন আগে ওই ভবনের একটি কোম্পানিতে চাকরি নিয়েছিলেন নাঈম। এরপর বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারান তিনি।
নাঈদের মৃত্যুতে তাদের গ্রামের বাড়িতে শোকের♏ ছায়া নেমে এসেছ🍌ে। শুক্রবার (১ মার্চ) নাঈমের বাড়িতে গিয়ে তাদের স্বজনদের আহাজারি করতে দেখা যায়।
জানা যায়, নাঈম বরগুনা সদর উপজেলার ফুলঝু🍸ড়ি ইউনিয়নের ছোট গৌর🔥ীচন্না এলাকার দরিদ্র ভ্যানচালক মো. নান্টু ও মোসা. লাকি দম্পত্তির একমাত্র ছেলে। দুই ভাই-বোনের মধ্যে বড় ছিলেন নাঈম।
🌺নাঈমের বাবা নান্টু মিয়া জানান, অনেক পরিশ্রম করে তিনি নাঈমকে এইচএসসি পর্যন্ত লেখাপড়া করিয়েছেন। বাবা-মায়ের কষ্ট লাঘবে এইচএসসি পাস করে কাজের সন্ধানে ঢাকায় গিয়েছিলেন নাঈম। একমাস🔯 অন্য এক জায়গায় কাজ করে। পরে মাত্র তিনদিন আগে বেইলি রোডের ওই ভবনে থাকা একটি কোম্পানিতে কাজ নেন।
পুরো বিল্ডিংয়ে যখন আগুন ছড়িয়ে পড়ে, তখন বাঁচার জন্য ভবনের ছাদে গিয়ে বাবাকে মোবাইলে কল করে বাঁচার আকুতি জানান নাঈম। পরে নাঈমকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি।𓃲 শেষবারের মতো নিথর দেহে ছেলেকে দেখতে হয় বাবাকে।
নাঈমের এমন মৃত্যুর খবরে এলাকা জুড়ে বইছে শোকের মাতম। বাড়িত💝ে ছুটে আসছেন স্বজন ও এলাকাবাসী। নাঈমের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন ফুলঝুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম সরোয়ার কবির। একই সঙ্গে তিনি নাঈমের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস🌠 দিয়েছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে বেইলি রোডের ওই ভবনে আগুন লাগে। এতে ৪৬ জন নিহত হন, এর মধ্যে ৩৭ মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। ১২ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন, তারা শঙ্কামুক্ত 🐻নন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। ভবন থেকে ৭৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।