‘আমি মুক্তিযুদ্ধ না করলে সখীপুরের মানুষ রাজাকার হতো’—বঙ্গবীর ক𝓀াদের সিদ্দিকীর (বীর উত্তম) এমন বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাইতে বলেছেন ট🧸াঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য অনুপম শাহজাহান জয়।
শনিবার (২০ এপ্রিল) বেলা ১১টা🅠র দিকে উপজেলা ডাকবাংলো মাঠে ‘২০ এপ্রিল ’৭১ সখীপুর মুক্তিবাহিনী দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় অনুপম শাহজাহান জয় প্রধান অতিথি🌱র বক্তব্য দেন।
বক্তব্যে কাদের সিদ্দিকীকে উদ্দেশ করে অনুপম শাহজাহান জয় বলেন, “সম্প্൲রতি উপজেলার হতেয়া-রাজাবাড়িতে এক জনসভায় আপনি (কাদের সিদ্দিকী) বলেছেন, ‘আপনি না থাকল﷽ে সখীপুরের মানুষ রাজাকার হতো। আপনার এই বক্তব্য প্রত্যাহার করে সখীপুর-বাসাইলের মানুষের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন।”
অনুপম শাহজাহান জয় বঙ্গবীরের প্রতি প💎্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, “আপনি না থাকলে কি দেশ স্বাধীন হতো না? আপনি দেশের একটি জাতীয় দৈনিকের কলামে লিখেছিলেন, শওকত মোমেন শাহজাহান না থাকলে কাদেরিয়া বাহিনী হতো না, আর কাদেরিয়া বাহিনী না থাকলে দেশ স্বাধীন হতো না। আপনি নিজেই তো আমার বাবা শওকত মোমেন শাহজাহানকে স্বীকৃতি দিয়েছেন।”
জয় এমপি বলেন, “আমার কথা যদি ভুল থাকে আমি সবার কাছে ক্ষমা চাইব। আপনি শওকত ไমোমেন শাহজাহান ও আরও কয়েকজনের জানাজায় বক্তব্য দেওয়ার সময় বলেছেন, আমি শওকত মোমেন শাহজাহানকে ক্ষমা করে দিলাম। ক্ষমা করার মালিক তো মহান আল্লাহ, আপনি ক্ষমা করার কে? শওকত মোমেন শাহজাহান কি ডাকাত ছিল? নাকি চোর ছিল?”
জয় এমপি বঙ্গবীরকে উদ্দেশে বলেন, “আপনি এতো বড় মাপের একজন মানুষ, কিন্তু আপনার অহংকার, দাম্ভিকতা ও কথাবার্তার কারণে সখীপুর-বাসাইলের মানুষ আপনাকে প্রত্যাখ্যান করেছে। আমার মতো একজন বাচ্চা ছেলের কাছে (জাতীয় সংসদ নির্বাচনে) আ▨পনাকে হারিয়ে দিয়েছে।”
ত🏅িনি আরও বলেন, “আপনি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, বড় মাপের মানুষ। আপনি এসব বক্তব্য প্রত্যাহার করেন, যাতে শেষ বয়সে আপনাকে সম🤡্মানের মণিকোঠায় রাখতে পারি। এটা আপনার প্রতি আমার অনুরোধ।”
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জুলফিকার হায়দার কামাল লেবুর সভাপতিত্বে বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন খোকা, পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হানিফ আজাদ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মঞ্জুরুল মোর্শেদ, সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ শাহিনুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত শিকদার, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার এম ও গণি প্রমুখ।