সারা দেশের মতো কক্সবাজারেও জেঁকে বসেছে শীত। সন্ধ্যা থেকে পরদিন দুপুর 🐓পর্যন্ত থাকছে শীতের দাপট। দুপুরের পর সূর্যের 🐎মুখ দেখা মিললেও রোদের উত্তাপ তেমন অনুভূত হয় না। যে কারণে এ জনপদে খেটে-খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ পড়েছেন চরম বিপাকে।
সরেজমিনে দেখা যায়, হাড় কাঁপানো শীতে শুধু জনজীবন নয়, নিস্তব্ধ হয়ে পড়েছে কাজের ඣযোগানও। ঠাণ্ডায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। কিন্তু শীতের কষ্টের চেয়েও পেটের ক্ষু꧟ধার কষ্ট বেশি হয়ে দেখা দিয়েছে এসব মানুষের জন্য। এই কনকনে শীতেও পেটের তাগিদে শীত উপেক্ষা করে কেউ কেউ কাজের খোঁজে বের হলেও কষ্টের সীমা নেই তাদের। একদিকে ঘন কুয়াশা অন্যদিকে হিমেল হাওয়া। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ভ্রাম্যমাণ চা বিক্রেতা, পত্রিকার হকার, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, রিকশাচালক, দিনমজুর, শিশু, বয়স্ক ও ছিন্নমূল মানুষ।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) ভোরে শহরের ‘মানুষ বিক্রির হাট’🧜 নামে পরিচিত গুনগাছতলা মোড়ে গিয়ে দেখা মেলে বেশ কজন শ্রমিকের। মাঘের এই তীব্র শীতেও তারা তাদের কাজের সরঞ্জাম নিয়ে জড়ো হয়েছেন নিজেদের শ্রম বিক্রি করতে।
এমনই একজন শ্রমিক মানিক মিয়া। তিনি জানান, শীতের🎉 তীব্রতায় কাজের পরিমান কমে গেছে। আগে ভোরবেলা কাজে যেতে পারলেও এখন সেই উপায় নেই। তাই পেট চালানোর চিন্তায় ভোর হতেই ছুটে আসেন এই হাটে।
মানিক মিয়া বলেন, “খাওন তো খেতে হবে, শীতে মরার আগে কি ক্ষুধায় মরব 🧸নাকি? একদিকে শীত অন্যদিকে ক্ষুধা, কোন দিকে যাব?”
অটোরিকশার চা⛄লক শাহিন মোহাম্মদ জানান, ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে চলা♛চল বিপদজনক হয়ে পড়েছে। হেডলাইট জ্বালিয়েও কিছু দেখা যায় না। এ ছাড়া সড়কে যাত্রী নেই বলে আয়ও কমে গেছে।
আরও কয়েকজন শ্রমিক জানান, ঠান্ডার কারণে সময়মতো কাজে যোগ দিতে পারছেন না তারা। যদিও পেটের দায়ে কাজের খোঁজে বের হতেই হচ্ছে। ঠান্ডায় তাদের হ𓆉াত-পা জমে আসে, কাজ করতে কষ্ট হয়।
এদিকে শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলায় শিশুদের মধ্যে দেখা দিয়েছে নানা ধরনের ঠান্ডাজনিত✱ রোগ। শিশুদের পা🐷শাপাশি এসব রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বৃদ্ধরাও।
বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, কনকনে ঠান্ডায় খড়-কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন শিশু-বৃদ্ধসহ অনেক🥀েই। শীতবস্ত্রের অভাবে অতি কষ্টে দিন কাটছে জেলার হতদরিদ্র মানুষের।
শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ আশিষꦇ দে বলেন, “শীতকালে শিশুদের জন্য ব😼াড়তি যত্নের প্রয়োজন। গরম কাপড়ের পাশাপাশি পরিস্কার পরিচ্ছন্নতাও জরুরি।”
এদিকে জেলার আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আরও কিছুদিন থা💛কবে এই শৈত্যপ্রবাহ। সেই সঙ্গে হতে পারে বৃষ্টিও।